বহিষ্কারাদেশ পাওয়া অভিবাসীরা ক্ষমার আবেদন করতে পারবেন

বহিষ্কারাদেশ পাওয়া অভিবাসীদের ক্ষমা করার উদ্যোগ নিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ডেভিড প্যাটার্সন। তাঁর কার্যালয় থেকে গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লঘু অপরাধে বহিষ্কারাদেশ পাওয়া নিউইয়র্কের অভিবাসীরা সাধারণ ক্ষমার জন্য গভর্নরের কাছে আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদন যাচাই করার জন্য গভর্নর একটি প্যানেলও গঠন করেছেন। এ ঘোষণার পর নিউইয়র্কে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসী আশার আলো দেখছেন।
গভর্নর প্যাটার্সন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনে বহিষ্কারাদেশ অত্যন্ত অনমনীয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আইনে রাজ্য গভর্নরকে এ ক্ষেত্রে সীমিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গভর্নরের সীমিত ক্ষমতাবলে রাজ্য গভর্নর ক্ষেত্রবিশেষ বহিষ্কারাদেশ পাওয়াদের অনুকম্পা প্রদর্শন করতে পারেন।
নব্বইয়ের দশকে মার্কিন অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনায় লঘু অপরাধে গত তিন দশকে বহু বৈধ অভিবাসীর অভিবাসনসুবিধা বাতিল করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশের খড়্গ মাথায় নিয়ে হাজার হাজার অভিবাসী বসবাস করছেন নিউইয়র্কে। একসময় বৈধ অভিবাসন ছিল, এমন অনেকেরই গ্রিন কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তাঁদের কাজের বৈধ অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ পাওয়া অভিবাসীরা প্রায়ই ধরপাকড় আর তল্লাশির শিকার হচ্ছেন।
নিউইয়র্কে বসবাসরত বহিষ্কারাদেশ পাওয়ারা অনুকম্পা পাওয়ার জন্য রাজ্য গভর্নরের কাছে আবেদন করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত বাছাই কমিটি আবেদন বিবেচনার জন্য আনুষঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করবে। গভর্নরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বাছাই কমিটি অনুকম্পা বিবেচনার জন্য গভর্নরের কাছে সুপারিশ উপস্থাপন করবে। গভর্নর ডেভিড প্যাটার্সন বলেছেন, নিউইয়র্কে অভিবাসীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসীদের ওপর কড়াকড়ি করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বছরের মধ্যেই অভিবাসন আইনের সংস্কার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.