দুই স্বাগতিকের ম্যাচে জিতল শুধু ফেনী

সিটিসেল বাংলাদেশ লিগে কাল ছিল তিনটি ম্যাচ। কিন্তু ঢাকার বাইরের খেলা দুটি হলেও ঢাকার ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ফেনীতে রহমতগঞ্জকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্থানীয় ফেনী সকার। চট্টগ্রামে অবশ্য জিততে পারেনি স্থানীয় চট্টগ্রাম আবাহনী। পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানির দল শুকতারার কাছে হারতে হয়েছে ১-০ গোলে।
ঢাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চলছে জাতীয় অ্যাথলেটিকস। যে জন্য বিকেল ৪টায় নির্ধারিত শেখ রাসেল-বিয়ানীবাজার ম্যাচটি নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা ৬টায়। কিন্তু খেলাটি শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সন্ধ্যার পর ফ্লাডলাইটে কোনো খেলা চালানো যাবে না—সরকারি এই নির্দেশ পেয়েই ম্যাচ স্থগিত রাখে বাফুফে। সন্ধ্যার পর বিদ্যুত্ কম ব্যবহার করার জন্য একটি আদেশ জারি করেছেন আদালত। যে কারণে খেলাটি চালাতে হলে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারস্থ হতে হতো বাফুফেকে। কিন্তু সেই জটিলতায় না গিয়ে দুটি ম্যাচই স্থগিত করেছে বাফুফে। যে জন্য শেখ রাসেল ও বিয়ানীবাজারের ম্যাচটি হয়নি। দুই দিনব্যাপী অ্যাথলেটিকস চলার কারণে মুক্তিযোদ্ধা-আরামবাগের আজকের ম্যাচটিও স্থগিত করা হয়েছে। এই দুই দিনের ম্যাচ হবে ৭ ও ৮ মে। বি-লিগের অন্য ম্যাচগুলোর তারিখও এই অনুযায়ী বদলে যাবে।
ফেনীতে প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল রহমতগঞ্জই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ফেনী থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ২৬ মিনিটে রহমতগঞ্জ ইদ্রিসের গোলে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ফেনী সকার। ৬৩ মিনিটে রাজুর দুর্দান্ত এক শটে সমতায় ফেরে ফেনী। আর ৭৫ মিনিটে সকারের আনোয়ারের গোলে ২-১ পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল। ৬৬ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে তাঁরা মাঠ ছেড়ে বাইরে চলে যান। অবশ্য ৩ মিনিট পর আবারও মাঠে ফিরে আসেন। ৭৭ মিনিটে আবারও একটি ফাউল ধরাকে কেন্দ্র করে রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদ জানান। এ সময় রহমতগঞ্জের একজন কর্মকর্তা মাঠে নেমে রেফারির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অনেক দিন পর নিজেদের মাঠে সকারের খেলা স্বাগতিক দর্শকদের মন ভরিয়েছে। ২০ খেলায় ২৫ পয়েন্ট ফেনী সকারের এবং সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট রহমতগঞ্জের।
চট্টগ্রামে শুকতারার এই ম্যাচে আসলে হারানোর কিছু ছিল না। অবনমন এড়াতে পারেনি তারা। কিন্তু জয়ক্ষুধা যে তাদের হারিয়ে যায়নি সেটাই দেখাল নারায়ণগঞ্জের ক্লাবটি। লিগে তৃতীয় জয় পেল কাল। চট্টগ্রাম অফিস থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, একমাত্র গোলটি হয়েছে ৭ মিনিটে। লিটনের ক্রসে ইদ্রিস দারুণ এক হেডে গোল করেন। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া আবাহনী বেশ কয়েকটি আক্রমণ হানে প্রথমার্ধেই। কিন্তু মিঠুন, রনিরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। খেলার ৬৫ মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন মিঠুন। এই জয়েও অবস্থানের উন্নতি হয়নি শুকতারার। ১৯ ম্যাচে আবাহনীর সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট, শুকতারার ১৩।

No comments

Powered by Blogger.