হারলেও খারাপ খেলেনি বাহরাইন

সরকারি ভাষা আরবি, কিন্তু বাহরাইনের ক্রিকেটাররা সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন উর্দুতে! দলের সব ক্রিকেটারই যে পাকিস্তানি! জীবিকার তাগিদে একসময় বাহরাইনে গিয়েছিলেন, এখন ক্রিকেটটাও খেলছেন। তার ওপর ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে কাল ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর একটু পরই নেমে যেতে হয়েছে মাঠে। সদ্য আইসিসি ক্রিকেট লিগের ডিভিশন ফাইভে উন্নীত দলটি তবুও খুব খারাপ খেলেনি জিপি-বিসিবি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে হারলেও ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়েও কিছুটা বিপদে ফেলতে পেরেছিল স্বাগতিকদের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি বাহরাইনের। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ করার পর একপর্যায়ে ১৮ ওভারে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৮৯। কিন্তু ইমতিয়াজ হোসেনের বোলিং-তোপে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইমতিয়াজ, ২৯ রানে দুটি অধিনায়ক তানভীর হায়দার। বাহরাইনের একমাত্র ফিফটি ওপেনার ইমরানের (৫৮)। বোলিংয়ে শুরুতে চমকে দিয়েছিল বাহরাইন। ১০ রানেই তুলে নিয়েছিল জিপি-বিসিবির ৩ উইকেট। ৫ নম্বরে নেমে ৫৪ বলে ৬২ রান করেন আরিফুল হক, ২৪ বলে অপরাজিত ২৫ তানভীর। জিপি-বিসিবি জিতে যায় ১৮ ওভার বাকি থাকতে। দুই দলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ইমতিয়াজ ও ইমরান। জিপি-বিসিবি একাডেমির পক্ষ থেকে বাহরাইনের অধিনায়ক ইয়াসির ও কোচ মহসিন কামালের হাতে স্মারক তুলে দেন একাডেমির ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান শাকিল কাশেম।

No comments

Powered by Blogger.