মালয়েশিয়া থেকে ফিরে হতাশার কথা

কুয়ালালামপুরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির হাইপারফরম্যান্স ট্রেনিং সেন্টারে উচ্চতর প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের পাঁচ অ্যাথলেটের জন্য হতে পারত আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সঞ্জীবনী। কিন্তু দুর্ভাগ্য আর আগেভাগে প্রশিক্ষণ শেষ করে চলে আসতে হওয়ায় দেশে ফিরে কিছুটা হতাশই তাঁদের কণ্ঠ।
মালয়েশিয়ার রাজধানীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন পাঁচ অ্যাথলেট নাজমুন নাহার বিউটি, আফজাল হোসেন সূর্য, ইমরান হোসেন, মোহাম্মদ আল-আমিন ও জেসমিন আক্তার। প্রশিক্ষণ শেষে গত ৩ ডিসেম্বর দেশে ফিরেই তাঁরা যোগ দিয়েছেন বিকেএসপিতে এসএ গেমসের ক্যাম্পে।
৪০০ মিটার হার্ডলসে নিজের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট হলেও আফজাল মনে করেন, গেমসের আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রশিক্ষণ চালিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেকে আসতে পারলে আমাদের এই পাঁচজনের মধ্য থেকে অন্তত একটা সোনা পাওয়া সম্ভব ছিল।’ তিনি জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া থেকে আগে আগে চলে আসার কারণ বাজেটের স্বল্পতা, ‘আমরা চেয়েছিলাম আরও দুই মাস থাকতে। কিন্তু বাজেটের স্বল্পতার কারণে ফিরে আসতে হয়েছে। আমাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ১০ জন অ্যাথলেট প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মালদ্বীপ, পাকিস্তানের অনেকেই ছিল। আসার আগে ওরা আমাদের জিজ্ঞাসা করছিল, আমরা কেন এত আগে ফিরে যাচ্ছি।’
নাজমুন নাহার বিউটি নিজের প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব বেশি খুশি হতে পারছেন না। মালয়েশিয়ায় দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয়েছিল তাঁর। গত ১০ অক্টোবর মালয়েশিয়া ওপেনে খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। এর পর সেখানে আর কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া হয়নি তাঁর। তবে অনুশীলন করেছেন নিয়মিত। এসএ গেমস নিয়ে এখনই কোনো আশার কথা শোনাতে চাইলেন না বিউটি, ‘আমার ইনজুরিটা তত গুরুতর নয়। তবে এখনই এসএ গেমস নিয়ে কিছু বলব না। আগামী ২০ ডিসেম্বর ট্রায়ালের পর নিজের অবস্থা বুঝতে পারব।’ এসএ গেমসের ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট ফরিদ উদ্দিন অবশ্য এই পাঁচ অ্যাথলেটকে নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘ওদের নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। তবে ওখানে ওরা কি করেছে সেটা এখানে বসে বোঝা সম্ভব নয়। ওখানে আসলেই ভালো করেছে কি না, সেটা দেখতে হলে ওদের ট্রায়াল নিতে হবে।’

No comments

Powered by Blogger.