বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড়

বগুড়ায় ঈদের ছুটিতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ঈদের আনন্দ বেশি পেতে ঝিনাইদহে দুলাভাই-শ্যালকদের মধ্যে দাঁড়িয়াবান্ধা খেলার আয়োজন করা হয়। সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে।
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বগুড়া: ঈদের দিন বিকেলে সাতমাথায় কুটির শিল্প, বেলুন, চটপটির দোকানে বসেছিল মেলা। ওয়ান্ডারল্যান্ডে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম, কারুপল্লী, নাজ গার্ডেন, পৌরপার্কগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
শহরের বাইরে পুণ্ড্রনগর খ্যাত মহাস্থানগড়ে ঘুরে বেড়িয়েছে অনেকে। হজরত শাহ সুলতান বলখি (রহ.)-এর মাজার, জিয়নকূপ, শিলাদেবীর ঘাট, মহাস্থানগড় জাদুঘর, গোকুলে বেহুলার বাসরঘরের মতো জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছে শিশু-নারী পুরুষেরা।
ঝিনাইদহ: দুলাভাই-শ্যালকেরা খেলোয়াড়। আয়োজক শ্বশুরেরা। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই ঐতিহ্যবাহী খেলা দাঁড়িয়াবান্ধার আয়োজন। ঈদের পরের দিন কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে হয় এই খেলা। বিকেল চারটায় দৌলতপুর গ্রামের মাঠে শুরু হয় এই খেলা। খেলায় ভগ্নিপতি দলে অংশ নেন ওই গ্রামে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসা সব ভগ্নিপতি। আর প্রতিপক্ষ ছিল গ্রামের যুবকেরা, যাঁরা সম্পর্কে তাঁদের শ্যালক।
আয়োজকদের একজন আনছার মোল্লা জানান, ঈদের আনন্দ বেশি করে উপভোগ করতেই তাঁরা এই আয়োজন করেছেন। খেলোয়াড়দের একজন মাগুরার শালিখা উপজেলার দোবিলা গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘খেলায় তাঁদের জিততে না দেওয়ার জন্য ঈদের আগের দিন থেকে তাঁদের কম খেতে দেওয়া হয়েছে।’ অবশ্য শ্যালক দলের একজন তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা নিয়মিত খেলেন, তাই জিতেছেন। খেলায় ৭-২ কোটে জামাই দল পরাজিত হয়।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী): রোববার সকাল থেকেই বেশির ভাগ পর্যটক কুয়াকাটায় আসে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুঁটকিপল্লী, রাখাইন মহিলা মার্কেটসহ আকর্ষণীয় সব পয়েন্ট দর্শনার্থীর পদভারে ছিল মুখরিত। খাওয়ার হোটেল, আবাসিক হোটেল সর্বত্রই পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটায় যাওয়ার প্রধান সড়কটির বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।

No comments

Powered by Blogger.