ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

ইন্দোনেশিয়ায় গত বুধবারের ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজনের বেঁচে থাকার ব্যাপারে আশা ছেড়ে দিয়েছে সেখানকার উদ্ধারকারী দল। জাতিসংঘ ও রেডক্রস বলেছে, প্রায় চার হাজার লোক এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এদিকে ভিয়েতনামে টাইফুন কেটসানার আঘাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬২। গতকাল রোববার আরও ৮০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। রেডক্রস ভিয়েতনামে ক্ষতিগ্রস্ত দুই লাখ লোকের জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। অন্যদিকে ফিলিপাইনে গত শনিবার টাইফুন পারমার আঘাতে ১৬ জন নিহত হয়েছে। খবর এএফপির।
ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধারকারী দলের প্রধান সামসুবিন বলেছেন, ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়ে আছে, তাদের জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুবই কম। ভূমিকম্পের চার দিন পরও ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় উদ্ধার তত্পরতা চালানো হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই সব এলাকায় জীবিত কাউকে উদ্ধার করার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার পাদাংয়ে একটি বহুতল হোটেলে ব্যাপক উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। গত শনিবার মোবাইল ফোনের একটি বার্তা পাওয়া যায়। এতে উদ্ধারকারী দল আশা করছে, ওই হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজন বেঁচে থাকতে পারে। গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
এদিকে ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা বলেছেন, টাইফুন কেটসানার প্রভাবে দেশটির ১৪টি প্রদেশে ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুয়াং নাগাই ও পার্বত্য কন টাম প্রদেশ। ঘরবাড়ি ও মাটির নিচে চাপা পড়ে কন টামে ৪৭ জন এবং কুয়াং নাগাইয়ে ৩৩ ব্যক্তি মারা গেছে।
রেডক্রস বলেছে, টাইফুনের প্রভাবে ভিয়েতনামে ৩০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৫০ লাখ ডলার জরুরি সাহায্য কামনা করেছে।
ভিয়েতনামে রেডক্রসের মহাসচিব দোয়ান ভান থাই বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে নগদ টাকা বা ত্রাণ যেকোনো সাহায্য পেলেই আমরা খুশি।’
এদিকে ফিলিপাইন পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট লোরেটো এসপিনেলি বলেছেন, গত শনিবার বেনগুয়েত প্রদেশে টাইফুন পারমার আঘাতে একটি পরিবারের পাঁচজন সদস্য মারা গেছে। এ ছাড়া ওই প্রদেশের আরও একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ সাতজন মারা গেছে। ম্যানিলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী ঝড় কেটসানা বয়ে যাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে টাইফুন পারমা সেখানে আঘাত হানল।

No comments

Powered by Blogger.