বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও ইপিজেড ভারতীয় বিনিয়োগের বড় সুযোগ -ঢাকা চেম্বারে ভারতীয় হাইকমিশনার

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) থাকায় ভারতীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। ইপিজেডে যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপন করে ভারতীয় কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উত্পাদন করে ভারতের বাজারে বিক্রিরও সুযোগ রয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-ব্যবধান কমে আসবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এবং ভারতের ক্যাপেক্সেলের যৌথভাবে আয়োজিত ‘পণ্য প্রদর্শন ও ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন’-এ তিনি এসব কথা বলেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে ডিসিসিআই সভাপতি জাফর ওসমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতা চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য, ডিসিসিআই সহসভাপতি মো. সিরাজউদ্দিন মালিক, পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, আলহাজ মো. নাসিরউদ্দিন খান, এম আনওয়ারুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম, এম শাহজাহান খান প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুত্ খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের তৈরি পোশাক, সিরামিক, চামড়া, পাট ও পাটজাত শিল্প, আইসিটি প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বিদেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মান ও দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
ডিসিসিআই সভাপতি জাফর ওসমান বলেন, এ আয়োজন দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য-ঘাটতি হ্রাস, বাজার সম্প্রসারণ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

No comments

Powered by Blogger.