বেঁচে রইল ফ্রান্স-পর্তুগালের আশা

এক দল ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী; দুবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। অন্য দল এখনো সেই সাফল্যের জন্য ব্যাকুল হয়ে প্রহর গুনছে। সাফল্য বিবেচনায় যতই ব্যবধান থাক, ফ্রান্স আর পর্তুগালকে একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। দুদলের বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা না-খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা যে পেন্ডুলামের মতো দোদুল্যমান।
গত পরশু দুদলই সেই আশাটাকে একটু উজ্জ্বল করে তুলেছে। হাঙ্গেরিতে গিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। আর সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই ১০ জনের দলে পরিণত ফ্রান্স পিছিয়ে পড়ার পরও ড্র করেছে ১-১ গোলে।
ড্র করেই খুশি ফরাসি কোচ রেমন্ড ডমেনেখ। হওয়ারই কথা। ম্যাচটা ছিল ফ্রান্সের বাঁচা-মরার লড়াই, অথচ সেটির শুরুটা এর চেয়ে খারাপ আর হতে পারত না। নিকোলা জিগিচকে ফাউল করায় ম্যাচের ১৩ মিনিটেই লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়তে হয় ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে সার্বিয়া এগিয়েও যায়। ১০ জন নিয়ে খেলেও ফ্রান্স যে ড্র করতে পেরেছে, সেই কৃতিত্বটা থিয়েরি অঁরির। ৩১ মিনিটে অঁরি তাঁর ৫০তম আন্তর্জাতিক গোল করে কক্ষচ্যুত হতে দেননি ফ্রান্সকে। দুই ম্যাচ বাকি থাকতে গ্রুপের শীর্ষে থাকা সার্বিয়ার সঙ্গে এখন চার পয়েন্টের ব্যবধান ফ্রান্সের।
হাঙ্গেরির বিপক্ষে হারলে পর্তুগালের আশা শেষই হয়ে যেত। ৯ মিনিটে পেপের গোলে জয় হাওয়া লাগিয়েছে পর্তুগালের আশার পালে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য তৃতীয় স্থানেই আছে তারা। মাল্টাকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সুইডেন (১৫)। গ্রুপের শীর্ষে থাকা ডেনমার্ক (১৮ পয়েন্ট) এ দিন আলবেনিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করায় সুইডেন ও পর্তুগালের সঙ্গে কমে এসেছে পয়েন্টের ব্যবধান।
ওদিকে বুলগেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি এক পা দিয়ে রেখেছে চূড়ান্ত পর্বে। আট নম্বর গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আয়ারল্যান্ডের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে আজ্জুরিরা। আজারবাইজানকে ৪-০ গোলে হারিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না জার্মানি। ৪ নম্বর গ্রুপে তাদের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম দুইয়ে থাকা রাশিয়ার (২১ পয়েন্ট)।
ওদিকে এশিয়া অঞ্চলে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে পরশু মুখোমুখি হয়েছিল বাহরাইন আর সৌদি আরব। স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হলেও অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে বাহরাইন। প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নপূরণ করতে চাইলে বাহরাইনকে জিততে হবে ওশেনিয়া অঞ্চলের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
কনক্যাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের আশা শেষ হয়ে গেছে গতবার চূড়ান্ত পর্বে খেলা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর। শীর্ষ দুটি স্থানে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। হন্ডুরাস নেমে গেছে তিনে। চারে আছে কোস্টারিকা। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে আর্জেন্টিনা ৫ নম্বরে থেকে শেষ করলে এই কনক্যাকাফের চার নম্বর দলের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হবে তাদের।

No comments

Powered by Blogger.