আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনালে চোখ ভেট্টোরির

মাত্র একটা জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরশুর ৩৮ রানের এই জয়ে দারুণ উদ্দীপিত নিউজিল্যান্ড। এতটাই যে অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের স্বপ্নে বিভোর। আজ জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডকে হারালেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ভেট্টোরিদের। এ ম্যাচ জিতে শেষ চারে যাওয়ার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক, ‘আমাদের ভাগ্যটা এখন আমাদেরই হাতে। ওয়ান্ডারার্সের যে উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হবে, সে উইকেটও আমাদের চেনা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের যে ব্যাটিংকে খোঁড়াতে দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ব্যাটিংই দুর্দমনীয়! কেউ সেঞ্চুরি পাননি, অথচ স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ৩১৫ রান। আর এটাই সেমিফাইনালে খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (৪৬) ও জেসি রাইডার (৭৪)। তাঁদের ১২৫ রানের জুটির পর মার্টিন গাপটিলের ৭৬ বলে ৬৬ ও ভেট্টোরির ৪৪ বলে ৪৮ রান নিউজিল্যান্ডের স্কোরকে তিন শ পেরোতে সাহায্য করে।
নিউজিল্যান্ডের এই রানের পাহাড়েই চাপা পড়েছে শ্রীলঙ্কা। চার ও আট নম্বরে উইকেটে আসা মাহেলা জয়াবর্ধনে ও নুয়ান কুলাসেকেরা ৭৭ ও ৫৭ রান করলেও এই দুটি ফিফটি পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনা ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। ৪৬.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা অলআউট ২৭৭ রানে। তাদের সেমিফাইনাল খেলাটা এখন তাই নির্ভর করছে আজকের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের ওপর। আজ ইংল্যান্ড জিতলেই কেবল সেমিফাইনালে যেতে পারবে শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড জিতলে নিতে হবে বিদায়।
শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা মনে করেন সেমিফাইনাল নিয়ে অনিশ্চয়তার বড় একটা কারণ বাজে ফিল্ডিং, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো টুর্নামেন্ট জিততে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে আমাদের। গত কয়েক মাসের মধ্যে এখনই আমাদের অবস্থাটা সবচেয়ে বাজে।’ ব্যাটসম্যানদের কারও বড় ইনিংস খেলতে না পারাটাকেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের কারণ মনে হচ্ছে সাঙ্গাকারার কাছে, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ম্যাচ জেতার মতো বড় কোনো ইনিংস ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আসেনি।’
আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জেসি রাইডারকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাইরে চলে যাওয়া রাইডারের বদলি হিসেবে ডাক পেতে যাচ্ছেন অ্যারন রেডমন্ড।

No comments

Powered by Blogger.