রোমারিওর দুঃসময়

রোমারিও
বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে খেলবে তাঁর প্রিয় ক্লাব আমেরিকা আরজেতে। কিন্তু ওই ক্লাবে না খেলেই রোমারিও শেষ করলেন তাঁর ফুটবল-জীবন। খেলা ছেড়ে দেওয়ার এক বছর পর এটা মনে পড়াতেই যন্ত্রণাবিদ্ধ সাবেক ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। পেলের পর ক্যারিয়ারে হাজার গোল করা ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার তাই ঠিক করেছেন অবসর ভেঙে আবার মাঠে ফিরবেন, ‘আমি আমেরিকার হয়ে একটি বা দুটি ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব। বাবার স্বপ্নটা পূরণ করার এটাই একটা পথ।’
গত বছর খেলা ছেড়ে ব্রাজিলের ’৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুক্ত হয়েছেন ফুটবল প্রশাসনে। বলাই বাহুল্য, প্রয়াত বাবার প্রিয় ক্লাব আমেরিকাতেই। কিন্তু ক্লাবটি রিওর ক্যারিওকা দ্বিতীয় বিভাগে ধুঁকছে। ৪৩ বছর বয়সী রোমারিওর কি মনে হচ্ছে, নেপথ্যে কাজ না করে মাঠে নেমে পড়াই উত্তম!
শুধু ধুঁকতে থাকা ক্লাব নয়, রোমারিওকে সামলে নিতে হচ্ছে নিজের অর্থনৈতিক দুর্দশাও। দেনার দায়ে জর্জরিত এই সাবেক তারকা স্ট্রাইকারকে পাওনা পরিশোধ করতে বেচে দিতে হয়েছে নিজের বিলাসবহুল বাড়িটি। কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে সাড়ে তিন বছরের সাজা আর ৯ লাখ ডলারের বিশাল অঙ্কের জরিমানার খড়্গও ঝুলছে মাথার ওপর।
বিপদ যখন আসে, চারপাশ থেকেই আসে। অবৈধ বাজির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রথম স্ত্রীর খোরপোশ ঠিকমতো না দেওয়ার কারণে কদিন আগে হাজিরা দিতে হয়েছে আদালতেও!
সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে সমুদ্র-সৈকতের ধারে প্রাসাদসম বাড়িটি বেচে দিতে হয়েছে। যে বাড়ির দাম প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। নিলামে তোলার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই সেটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়ে যায়। বাড়ি বিক্রির সব টাকা ব্রাজিলের আদালতের কাছে গচ্ছিত থাকবে। এখান থেকেই মেটানো হবে ৪২ বছর বয়সী রোমারিও সব ঋণ।

No comments

Powered by Blogger.