মামদানি কেন হাতে তিনটি আংটি পরেন? by মৃণাল সাহা
মামদানির ডান হাতে দেখা যায় দুটি আংটি, বাঁ হাতে একটি। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর পারিবারিক স্মৃতি। ২০১৩ সাল থেকে আংটি পরা শুরু করেন মামদানি। ডান হাতের তর্জনীতে যে আংটিটি পরেন, তা পেয়েছেন তাঁর দাদার কাছ থেকে।
২০০৭ সালে সিরিয়া থেকে আংটিটি কিনেছিলেন তাঁর দাদা। ২০১৩ সালে দাদার মৃত্যুর পর থেকে সেই আংটি পরেন মামদানি। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এই আংটির সঙ্গে আমার দাদার দোয়া আছে। পরে থাকলে মনে হয় দাদা আমার আশপাশেই আছেন।’
মামদানির ডান হাতের অনামিকায় আছে দ্বিতীয় আংটিটি। তাঁর স্ত্রী রমা দুওয়াজির দেওয়া উপহার। অবশ্য যখন দিয়েছিলেন, তখনো স্ত্রী হয়ে ওঠেননি। তিউনিসিয়া ভ্রমণে গিয়ে মামদানির জন্য এই আংটি কিনে আনেন রমা। প্রেমিকা রমার দেওয়া আংটি তখন থেকেই মামদানির সঙ্গী।
বাঁ হাতের অনামিকায় থাকা তৃতীয় আংটিটি মামদানির বাগদানের আংটি। প্রায় চার বছর প্রেম করার পর, ২০২৫ সালের শুরুতে বিয়ে করেন জোহরান মামদানি ও রমা দুওয়াজি। মামদানির নির্বাচনী প্রচারণায় দারুণ ভূমিকা রেখেছেন আঁকিয়ে ও অ্যানিমেটর রমা।
সাধারণত নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে পদপ্রার্থীদের অলংকার ব্যবহার করতে দেখা যায় না। কারণ, ছোট্ট একটি ‘খুঁত’ কমিয়ে দিতে পারে ভোটের সংখ্যা। সেদিক থেকে এবারের দুই মেয়র প্রার্থী—রিপাবলিকান পার্টির কার্টিস স্লিওয়া ও ডেমোক্রেটিক পার্টির জোহরান মামদানি ছিলেন একেবারেই আলাদা। দলীয় রঙের সঙ্গে মিলিয়ে স্লিওয়ার লাল টুপি বা ‘বেরে’ হয়ে উঠেছিল আইকনিক। অন্যদিকে মামদানির হাতে শোভা পেয়েছে তিনটি আংটি।
মামদানির হাতে অবশ্য আংটি ছিল চারটি। চতুর্থটি নিয়মিত পরতেন বাঁ হাতের কনিষ্ঠায়। সেই আংটির ডিজাইন করেছিলেন স্ত্রী রমা। কিন্তু সেটা আর আঙুলে আঁটছিল না বলে খুলে রেখেছেন মামদানি। ভেবেছিলেন, একটু বড় করে নেবেন। তার আগেই সেই আংটি হারিয়ে গেছে!
মামদানি বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সেই আংটি নিয়ে হাহুতাশ করি। আমার কাছে তিনটি আংটিই অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ, তিনটি আংটিই আমার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।’
মামদানির পরা তিনটি আংটিই রুপার তৈরি। এসব রাখার জন্য আলাদা কোনো বাক্স নেই। বরং প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আংটি খুলে বিছানার পাশে ডেস্কে রেখে দেন। ঘুম থেকে উঠেই আবার পরেন। মেয়র হওয়ার পরও এসব আংটি খোলার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। মামদানির ভাষায়, ‘আমি যেমন ছিলাম, আজীবন তেমনই থাকব। মেয়র হয়েছি বলে রাতারাতি বদলে যাব, এমনটা ভাবার কারণ নেই।’
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
![]() |
| ডান হাতের তর্জনীতে যে আংটিটি পরেন, তা পেয়েছেন তাঁর দাদার কাছ থেকে। ছবি: এক্স থেকে |

No comments