ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কী কথা হলো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর
এ বিষয়ে জানেন এমন দুজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, সপ্তাহের শেষ দিকে ফোনে দুজনের কথা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো জানায়, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুজনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে এমন বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই।
দুই নেতার ফোনে কথা বলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এর মাত্র কয়েক দিন পরই পররাষ্ট্র দপ্তর মাদুরোকে ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ নামক একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার পর ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ কার্যকর করে।
ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের লক্ষ্য হলো মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা। তবে তাঁরা এটিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে।
গত অক্টোবরে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মাদুরো উত্তেজনা প্রশমিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাঁর দেশের তেলক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য অংশীদারত্ব দেওয়ার এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য আরও অনেক সুযোগ–সুবিধার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। ফলে মার্কিন কর্মকর্তারা গত মাসের শুরুতে সেই আলোচনা বন্ধ করে দেন।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যেকার ফোনে কথা বলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ভেনেজুয়েলার সরকারও এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তবে ভেনেজুয়েলার মাদুরো সরকারের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন, দুই নেতার মধ্যে সরাসরি ফোনে কথা হয়েছিল। প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তাঁরাও নিজেদের নাম–পরিচয় দিতে চাননি।
![]() |
| মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। রয়টার্স ফাইল ছবি |

No comments