অপ্রতিরোধ্য জোহরান মামদানি: নিউইয়র্ক টাইমস
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জোহরান মামদানির উত্থানকে ‘ঐতিহাসিক এবং অপ্রতিরোধ্য’ বলে খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তাতে বলা হয়েছে, মাত্র ৩৩ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট সিটি মেয়র প্রার্থী আগে নিউইয়র্ক সিটিতে তেমন পরিচিত ছিলেন না। তবে এখন চিত্র ভিন্ন। নির্বাচনে সাবেক গভর্নর এবং সিটির অন্যতম বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে জয়লাভের পথে রয়েছেন মামদানি।
জুনের প্রাথমিক নির্বাচনে মামদানি শুধু প্রতিকূলতাকেই হারাননি বরং ১২.৮ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এই জয় দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিক নির্বাচনের পর তিনি শহরের ক্ষমতাধর ব্যক্তি, ব্যবসায়ীক, শিল্প ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সংশয়ী স্থানীয় ডেমোক্রেটদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে সমর্থন আদায়ের জন্য অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এসব সাক্ষাতে মামদানি নিজেকে এক নতুন ধরনের বামপন্থী হিসেবে তুলে ধরছেন। যিনি শোনেন, নিজের দুর্বলতা বোঝেন এবং পরিবর্তন বিশ্বাস করেন। তিনি পার্টনারশিপ ফর নিউ ইয়র্ক সিটি-এর মতো বড় ব্যবসায়িক কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং রবার্ট উলফের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির গুরুত্বপূর্ণ অর্থ সংগ্রহকারীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। মামদানি তার পূর্বের কিছু অবস্থানের বিষয়ে এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। তিনি ভাড়াটেদের সমর্থন করতে চান। তবে বাড়িওয়ালাদের শাস্তি দিতে চান না। তিনি ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে থাকলেও ইহুদিবাদ-বিরোধী নন বলে স্পষ্ট করেছেন। পুলিশের বিষয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিয়েছেন, এমনকি তিনি তার মিলিয়নেয়ার ট্যাক্স প্রস্তাব নিয়ে আপস করতেও রাজি। এই পরিবর্তনকে ‘মামদানি ২.০’ বলা হচ্ছে।
মামদানি তার নির্বাচনের মূল ভিত্তি হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যের এজেন্ডাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলো হলো- সকলের জন্য বিনা খরচে সর্বজনীন শিশুযত্ন সুবিধা দেয়া। সকলের জন্য ফ্রি বাস পরিষেবা। শহরের ভাড়া-স্থিতিশীল অ্যাপার্টমেন্টগুলির জন্য চার বছরের ভাড়া স্থগিত রাখা। তিনি বলেছেন, সঠিক হওয়াটাই নিজের জন্য অর্থহীন যদি না তারা জয়ী হতে পারে এবং জনগণের কাছে ডেলিভার করতে পারে।
মামদানির ব্যক্তিগত জীবন এবং পটভূমি তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তার শিকড় ভারত এবং উগান্ডায়। তিনি একজন মুসলিম। নির্বাচিত হলে তিনি হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। তার মা বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি হাই স্কুল থেকেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার। তার এই বৈচিত্র্যময় পরিচয় এবং ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান অভিবাসী-সমৃদ্ধ নিউ ইয়র্ক সিটির ভোটারদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। তার প্রচারণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক প্যাটরিক গ্যাসপার্ডের মতে গাজার ইস্যুটি সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যান্য বিষয়ে কথা বলার জন্য একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করেছে।
নির্বাচনী প্রচারে মামদানিকে অনেক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জোহরানকে মামদানি দ্য কমি বলে অভিহিত করেছেন এবং ভিত্তিহীনভাবে বলেছেন যে মামদানি অবৈধভাবে দেশে আছেন এবং তিনি নির্বাচিত হলে নিউ ইয়র্ককে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হবে। জর্জ ফ্লয়েডের বিক্ষোভের সময় তিনি পুলিশকে তহবিল বন্ধ করো বলে যে টুইট করেছিলেন, তা থেকে তিনি এখন সরে এসেছেন এবং প্রয়োজনে পুলিশ বিভাগের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেছেন। তিনি বর্তমান পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশকে তার প্রশাসনে রেখে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউ ইয়র্কে এলে তাকে গ্রেপ্তারের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন, তা তার কিছু মিত্র এবং আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে অবাস্তব বলে মনে হয়েছে। তবে তিনি তার এই অবস্থানে অনড়।
মামদানি তার নির্বাচনের মূল ভিত্তি হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যের এজেন্ডাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলো হলো- সকলের জন্য বিনা খরচে সর্বজনীন শিশুযত্ন সুবিধা দেয়া। সকলের জন্য ফ্রি বাস পরিষেবা। শহরের ভাড়া-স্থিতিশীল অ্যাপার্টমেন্টগুলির জন্য চার বছরের ভাড়া স্থগিত রাখা। তিনি বলেছেন, সঠিক হওয়াটাই নিজের জন্য অর্থহীন যদি না তারা জয়ী হতে পারে এবং জনগণের কাছে ডেলিভার করতে পারে।
মামদানির ব্যক্তিগত জীবন এবং পটভূমি তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তার শিকড় ভারত এবং উগান্ডায়। তিনি একজন মুসলিম। নির্বাচিত হলে তিনি হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। তার মা বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি হাই স্কুল থেকেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার। তার এই বৈচিত্র্যময় পরিচয় এবং ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান অভিবাসী-সমৃদ্ধ নিউ ইয়র্ক সিটির ভোটারদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। তার প্রচারণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক প্যাটরিক গ্যাসপার্ডের মতে গাজার ইস্যুটি সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যান্য বিষয়ে কথা বলার জন্য একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করেছে।
নির্বাচনী প্রচারে মামদানিকে অনেক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জোহরানকে মামদানি দ্য কমি বলে অভিহিত করেছেন এবং ভিত্তিহীনভাবে বলেছেন যে মামদানি অবৈধভাবে দেশে আছেন এবং তিনি নির্বাচিত হলে নিউ ইয়র্ককে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হবে। জর্জ ফ্লয়েডের বিক্ষোভের সময় তিনি পুলিশকে তহবিল বন্ধ করো বলে যে টুইট করেছিলেন, তা থেকে তিনি এখন সরে এসেছেন এবং প্রয়োজনে পুলিশ বিভাগের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেছেন। তিনি বর্তমান পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশকে তার প্রশাসনে রেখে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউ ইয়র্কে এলে তাকে গ্রেপ্তারের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন, তা তার কিছু মিত্র এবং আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে অবাস্তব বলে মনে হয়েছে। তবে তিনি তার এই অবস্থানে অনড়।

No comments