আম্বানি পরিবারের চিড়িয়াখানার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ
এতে বলা হয়, ব্যক্তিগত ওই চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত সম্ভাব্য আইনভঙ্গের পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম এবং অর্থ পাচারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলছে, যদিও এখন পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই তবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের দায়িত্বপালনে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।
চিড়িয়াখানাটিতে হাতি থেকে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রয়েছে। হাতির সংখ্যা কয়েকশ। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ভান্তারার স্বচ্ছতা, সহানুভূতি এবং আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। চিড়িয়াখানায় থাকা সকল প্রাণীর যত্ন, পুনর্বাসন এবং রক্ষণাবেক্ষণই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রায় ৩৫০০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল ওই চিড়িয়াখানা। যেখানে প্রায় ২০০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। ভান্তারার দাবি, এটিই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্র। অনন্ত আম্বানির বিয়ের সময় ভান্তারাকে বেশ জাঁকজমকভাবে সাজানো হয়। যা নিয়ে বিশ্বে সাড়া পরে যায়।
বিশাল এই চিড়িয়াখানাটি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত। মুকেশ আম্বানির বৃহৎ তেল পরিশোধনাগারের খুব কাছেই এর অবস্থান।
এ বছরের মার্চে ভান্তারা উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেসময় তিনি চিড়িয়াখানাটির বেশ প্রশংসা করেন। বলেন, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে পোস্টও করেন মোদি।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে- এমন চিত্তাকর্ষক বন্যপ্রাণীর পুনর্বাসনকেন্দ্রটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেনি আম্বানি পরিবার। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বন্যপ্রাণী অধিকার কর্মীরা সমালোচনা করছেন। সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থের ওপর জোর দিয়েছে। বলেছে, এসব অভিযোগ অসমর্থনযোগ্য। তবে সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ বা আদালত তাদের আদেশ পালনে অনিচ্ছুক বিধায় স্বাধীন তদন্তকে যথাযথ বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।
বন্যপ্রাণীর বিশাল এক সম্ভারের নাম ভান্তারা। কি নেই সেখানে। হাতি, বাঘ, চিতা, সিংহ থেকে শুরু করে তৃণভোজী প্রাণীর কোনো কিছু বাদ নেই। চিড়িয়াখানাটিতে হাতির সংখ্যা ২০০টি। চিতা, সিংহ এবং বাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনবিড়ালের সংখ্যা প্রায় ৩০০টি। তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যাও ৩০০টি। আর সরীসৃপ আছে প্রায় ১২০০ প্রজাতির।
No comments