ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত ৪৯: জিম্মি মুক্তি বিলম্বের জন্য নেতানিয়াহু দায়ী, ভুক্তভোগীদের পরিবার

হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তিতে বিলম্ব হওয়ায় ফের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করলো ভুক্তভোগীদের পরিবার। তারা বলেছেন, জিম্মিদের ঘরে ফেরাতে এবং শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, বন্দিদের ঘরে ফেরাও। আরও বলা হয়েছে, যখনই একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা দেয় তখনই নেতানিয়াহু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এর আগে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন। ওই হামলার পরই এমন মন্তব্য করেছে গ্রুপটি। শনিবার নেতানিয়াহু জানিয়েছে, কাতার থেকে হামাস নেতাদের নিমূর্লের মাধ্যমে জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধ শেষ করার প্রধান বাধা দূর হবে। তিনি হামাসের বিরুদ্ধে সকল প্রকার যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় বাধা দেয়ারও অভিযোগ আনেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার ইসরাইল উদ্দেশ্য রওনা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। তবে জিম্মিদের পরিবারগুলো তাদেরকে ঘরে ফেরাতে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন
সূত্র: বিবিসি

গাজা সিটিতে ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত ৪৯

গাজা সিটিতে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল । এতে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া স্কুলসহ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।এতে বলা হয়েছে, লাগাতার বোমা বর্ষণের ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬ হাজার ফিলিস্তিনি। প্যালেস্টেনিয়ান সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির এক মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজা সিটির বাসিন্দারা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো ১০-১৫ মিনিট পর পরই আবাসিক ভবনগুলোর ওপর হামলা চালায়। তারা বাসিন্দাদের সেখান থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সময় পর্যন্ত দেয়নি। আরও বলেছেন, ইসরাইল বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষ এখন শহরের পশ্চিম প্রান্তে কেন্দ্রীভূত। আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটিতে হামলা চালালেও অনেক বাসিন্দাই সেখানে থেকে যাচ্ছেন অথবা দক্ষিণে আল মাওয়াসির শিবিরে যাত্রা করার চেষ্টা করছেন। আল শিফা হাসপাতালের প্রধান ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, বাসিন্দারা গাজা সিটির পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে সরে যাচ্ছেন। তবে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দক্ষিণে যেতে পারছেন। কেউ দক্ষিণে যেতে পারলেও তারা সেখানে থাকার কোনো জায়গা পাচ্ছেন না।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.