কাতারে থাকা হামাস নেতারাই যুদ্ধবিরতির পথে প্রধান বাধা, বললেন নেতানিয়াহু

কাতারে অবস্থানরত হামাসের শীর্ষ নেতাদের সরিয়ে দেওয়া গেলে গাজার সব জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধ শেষ করার পথে প্রধান বাধা দূর হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসরায়েল সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটি গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে।

হামাস জানিয়েছে, এ হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নির্বাসিত গাজা নেতা খালিল আল–হায়ার ছেলে। তবে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আলোচক দলের সদস্যরা বেঁচে গেছেন। কাতার বলেছে, তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যও নিহত হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘কাতারে থাকা হামাসের “সন্ত্রাসী” নেতারা গাজার জনগণের প্রতি কোনো তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা সব যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছেন; যেন যুদ্ধকে অনন্তকাল টেনে নেওয়া যায়।’

অন্যদিকে হামাস বলেছে, দোহায় হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে দিতে চাইছে ইসরায়েল। তবে এতে গাজা যুদ্ধ শেষ করার শর্তে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

ইসরায়েল দাবি করেছে, যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে অবশ্যই গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে ও অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। কিন্তু হামাস বলছে, ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি ছাড়া তারা সব জিম্মি মুক্তি দেবে না; পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র ছাড়বে না।

জেরুজালেমে নিউজম্যাক্স আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় যোগ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ১৩ আগস্ট ২০২৫
জেরুজালেমে নিউজম্যাক্স আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় যোগ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ১৩ আগস্ট ২০২৫ ছবি: রয়টার্স

No comments

Powered by Blogger.