ট্রাম্পের সঙ্গে মুসলিম নেতাদের বৈঠক: আলোচনায় গাজা সংকট ও ইসরাইলের প্রত্যাহার
বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একটি যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হবে এবং তিনি বৈঠকের ফলাফল নিয়ে খুশি। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যান্য মুসলিম নেতারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। পরে ট্রাম্প বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং সাংবাদিকদের জানান, গাজা যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু শেষ করতে যাচ্ছি, যা আমরা শুরু করিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতে, ট্রাম্প গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধপরবর্তী শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনা তুলে ধরেন, যেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো সেনা পাঠিয়ে ইসরাইলের প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে এবং পুনর্গঠন ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার জন্য অর্থায়ন করবে।
অ্যাক্সিওস জানায়, এই পরিকল্পনা ইসরাইল তৈরি করেনি। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এর বিস্তারিত জানানো হয়েছে। পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও ইসরাইল বারবার জানিয়েছে এটি তারা সহ্য করবে না। গাজায় ইসরাইলের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দা চলছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি নেতানিয়াহুর সরকার গাজা নগরীতে স্থল অভিযানের সূচনা করেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই। তবুও ওয়াশিংটন ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই রয়ে গেছে।
সোমবার নিউইয়র্কে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন বর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা আছে এবং দেশটি নিয়মিতভাবে ইসরাইল-বিরোধী প্রস্তাব আটকে দেয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সবচেয়ে স্পষ্ট পথ হলো ইসরাইল ও একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, টেকসই এবং সংলগ্ন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। তিনি এই মুহূর্তকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

No comments