যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: আরও একটি যুদ্ধ আসন্ন!
তিনি শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভেনেজুয়েলাসহ লাতিন আমেরিকায় শাসন পরিবর্তনের সহিংস পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করুক। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ভেনেজুয়েলা আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ‘সশস্ত্র সংগ্রামের’ সূচনা হবে। বর্তমানে দেশটির সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩,৪০,০০০ সদস্য এবং রিজার্ভ ও মিলিশিয়া সদস্যসহ মাদুরোর দাবি অনুযায়ী ৮০ লাখেরও বেশি যোদ্ধা রয়েছে।
ক্যারিবীয় সাগরে ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৭টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, ৪৫০০ মেরিন ও নাবিক, এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভেনেজুয়েলার দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস জ্যাসন ডানহ্যামের কাছাকাছি উড়ে যায়, যা ওয়াশিংটন ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিযোগ করেছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তারা আমাদের বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে, তবে গুলি করে নামানো হবে।
মঙ্গলবার মার্কিন বাহিনী ক্যারিবীয় সাগরে একটি স্পিডবোট উড়িয়ে দেয়, যা ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী ভেনেজুয়েলার অপরাধী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়া-এর ছিল। এ ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। ভেনেজুয়েলা একে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরাও হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মেক্সিকো সফরে সাংবাদিকদের বলেন, যখন কেউ কোকেইন বা ফেন্টানিল ভর্তি নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসবে, তখনই তারা আমাদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি। আর এদের থামানোর উপায় হচ্ছে—ওদের উড়িয়ে দেওয়া।

No comments