গাজার নাসের হাসপাতালে নৃশংস হামলা, পাঁচ সাংবাদিকসহ নিহত ২০

গাজার নাসের হাসপাতালে নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজনই সাংবাদিক। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরাইলের সেনারা। এতে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজনই সাংবাদিক।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে আল জাজিরার সাংবাদিকও রয়েছেন। এছাড়া প্যালেস্টাইন টিভির একজন ক্যামেরাম্যানও নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তার নাম হুসইেন আল মারসি। আর আল জাজিরার নিহত সাংবাদিকের নাম মোহাম্মদ সালমান। বার্তা সংস্থা এপির হয়ে কাজ করতেন এমন এক নারী সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার নাম মারিয়াম আবু দাগ্গা। ইসরাইলের হামলায় আরেক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তাকে মোয়াজ আবু তহা নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র আনাদোলুকে নিশ্চিত করেছে যে, তিউনিশিয়ার মরোক্ক নিউজে কাজ করা আহমেদ আবু আজিজ নামের এক সাংবাদিকও প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলের হামলায় আগেই আহত হয়েছিলেন এই গণমাধ্যমকর্মী। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, ইসরাইলের হামলায় ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত এবং অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকার্যক্রম পরিচালনার সময় হতাহতের শিকার হন তারা।

হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। দাবি করেছে কোনোভাবেই সাংবাদিক হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই বিমান হামলার বিষয়ে জরুরি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তেল আবিব।
গাজায় সাংবাদিক হত্যার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগেই তেল আবিবের হামলায় বহু সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেককেই টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

উপত্যকাটির সরকারি মিডিয়া দপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৪৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইল। যারা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করেছেন। ইসরাইল আন্তর্জাতিক কোনো মিডিয়ার সাংবাদিককে সেখানে প্রবেশ করতে দেয় না। তাই স্থানীয় সাংবাদিকেরাই সংবাদমাধ্যমগুলোর একমাত্র খবর সংগ্রহের উপায় ছিলেন। তবে ইসরাইলের টার্গেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তারা। 

mzamin

No comments

Powered by Blogger.