মা-মেয়ের আবেগঘন মিলন
জুবাইদা রহমান দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিরোজায় যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে যান। ওদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু গত কয়েকদিন আগে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহীনা জামান। জুবাইদা রহমান স্কয়ার হাসপাতালে আসবেন সেজন্য আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
হাসপাতালে পৌঁছালে সুরভী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় জুবাইদাকে। এ সময়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে রশিদুজ্জামান মিল্লাত, নাসির উদ্দিন অসীম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনসহ দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। ‘সুরভী ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এই সংগঠনটি মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে সরকার।
মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বছর পর সাক্ষাতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন জুবাইদা। এর আগে লন্ডনে দুই বার মায়ের সঙ্গে দেখা হলেও ১৭ বছরের মধ্যে দেশের মাটিতে দেখা হলো মা-মেয়ের।
ওদিকে ছোট মেয়ে জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসে বাবার বাসায় উঠবেন বলে বাসার নিরাপত্তা ও সাজসজ্জা করা হয়েছে।
গুলশানে ফিরোজার সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ডা. জুবাইদা রহমান ম্যাডামের সঙ্গে এসেছেন এবং এটা শুরু নয়, এটা উনাদের দেশ, উনারা আসবেন- এটাই স্বাভাবিক। আসতে দেয়া হয় নাই সেজন্য আসতে পারেন নাই। আর সময় বলে দেবে যে, উনি কয়দিন থাকবেন। স্বাভাবিকভাবে উনার স্বামী তারেক রহমান ওখানে (লন্ডনে) আছেন, উনার মেয়ে ওখানে (লন্ডনে) আছেন। আবার কয়েকদিনের মধ্যে উনি যাবেন, সব কিছু গোছগাছ করে, ১৭ বছর ওখানে নির্বাসনের থাকতে হয়েছে। কাজেই সেটাকে গুছিয়ে এবং অতি সহসাই দেখবেন তারেক রহমানসহ আবারো দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম চলছে অর্থাৎ এটার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য সেই গণতন্ত্র, ওই চূড়ান্ত পর্য়ায়ের নেতৃত্ব দেবেন আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে একমাত্র মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। এক-এগারোর সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে ডা. জুবাইদাও। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়ার পরে শেখ হাসিনার সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। কথিত দুনীতির মামলা করে সাজাও দেয়।

No comments