যুদ্ধবিরতি আলোচনার আর কোনো অর্থ নেই : হামাস
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজায় ইসরাইলের স্থল অভিযান সম্প্রসারণের ফলে আরও অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক নিহত হবেন। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজায় খাদ্য সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ট্রাম্প বলেন, গাজার মানুষ ক্ষুধার্ত এবং আমরা তাদেরকে খাবার দিয়ে সহায়তা করবো। তবে হামাস সবকিছু জটিল করে তুলছে। উল্লেখ্য, ২রা মার্চ গাজার উদ্দেশে যাওয়া সকল সাহায্য বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এর দুই সপ্তাহ পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে তারা উপত্যকাটিতে পুনরায় হামলা চালায়। বলা হয়, জিম্মি মুক্তির বিষয়ে হামাসকে চাপ দিতেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রতি ২-৩ দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পায় গাজার মানুষ: জাতিসংঘ
গাজার মানবিক সহায়তা বন্ধ করায় উপত্যকাটির লাখ লাখ মানুষকে এক অবর্ণনীয় ক্ষুধা গ্রাস করেছে। প্রতি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে মাত্র এক বেলা খাবার পাচ্ছে গাজাবাসী। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজাবাসীর এমন করুণ পরিণতির জন্য উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে ইসরাইলের বাধাকে দায়ী করেছে সংস্থাটি। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, আল-গাদ নামের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা বলেছেন, তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ৬৬ হাজার। ২ মার্চ থেকে গাজার সীমান্ত গুলোতে অবরোধ দিয়েছে ইসরাইল। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে তারা। ফলত যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট আগের তুলনায় আরও প্রকট হয়েছে। কর্মরত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের হামলার পর ক্ষুধায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭ ফিলিস্তিনি। গাজায় বর্তমানে প্রায় ২৪ লাখ মানুষের বসবাস। যাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনোভাবে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

No comments