মালদ্বীপে ইসরাইলি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
উল্লেখ্য, ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর তার নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ করে। সেই সময় মালদ্বীপ সরকার ইসরাইলি পাসপোর্টধারীদের দেশে প্রবেশ রোধে আইন পরিবর্তন করার এবং প্রক্রিয়াটি তদারকি করার জন্য একটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরাইল তাদের নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণের বিরুদ্ধে একটি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। কারণ হামাসের সাথে যুদ্ধের সময় ইসরাইল-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল।
১৯৭৪ সালে ইসরাইলের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে মালদ্বীপ ইসরাইলি পর্যটকদের উপর থেকে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ২০১০ সালে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার পর থেকে ইসরাইলিদের দ্বীপপুঞ্জের জন্য বিখ্যাত এই দেশটিতে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়। যদিও সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ২০১৪ সালে পরিত্যক্ত হয়। যুদ্ধের ফলে ইসরাইলিদের বিদেশ ভ্রমণের উপর অন্যান্য দিক থেকেও প্রভাব পড়েছে। গাজা এবং এই অঞ্চলে ইরানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ইসরাইলের উপর বোমাবর্ষণ শুরু হওয়ায় বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা তাদের তেল আবিব রুট বাতিল করেছে। এছাড়াও ইসরাইল-বিরোধী ফিলিস্তিনিপন্থি গোষ্ঠীগুলি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে বিদেশে থাকা ইসরাইলি পরিষেবা কর্মীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করেছে। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলে এক ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। এরপর শুরু হয় গাজা যুদ্ধ। হামাসের আক্রমনে ইসরাইলে ১,২০০ জন নিহত হয়। ২৫১ জন জিম্মিকে অপহরণ করে হামাস। ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করার জন্য, ক্ষমতা থেকে তাদের উৎখাত করার জন্য এবং ৫৯ জন বন্দী থাকা জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সামরিক অভিযান চালায়। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা ৫০,৯৮৩ জনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব নয় এবং বেসামরিক এবং যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করা হয় না।

No comments