লম্পট পিতার ফাঁসি
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগী জানায় যে, ২০২৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর তার মা-বোনের বাড়িতে গেলে রাতে বাবা বসতঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে। তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী গত ২০২৪ সালের ১১ই ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে। জরিমানার আদেশ তার জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন। সর্বোপরি সাক্ষী শুরু থেকে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করতে সক্ষম হয়েছে। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন সংঘটিত না হয় সেজন্য এ রায় যুগান্তকারী হয়ে থাকবে।

No comments