মহাকাশে যেভাবে আছেন সুনিতা

মহাকাশ থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস তার প্রাক্তন উচ্চ বিদ্যালয়, নিডহাম হাই-এর  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রায় সাত মাস ধরে মহাকাশে আটকে থাকার চ্যালেঞ্জ এবং আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। মূলত ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (ওঝঝ) তার মিশন মাত্র এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হবে বলে আশা করা হয়েছিল, কিন্তু স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে তাকে এবং তার সহকর্মী নভোচারী বুচ উইলমোরকে পরিকল্পনার চেয়ে অনেক বেশি সময় মহাকাশে থাকতে হচ্ছে।  

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি ভার্চ্যুয়াল প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়, সুনিতা উইলিয়ামসকে মাইক্রোগ্রাভিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি এটিকে সাঁতার বা উড়ার মতো অনুভূতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তবে স্বীকার করেছেন যে মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার জেরে শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।  উইলিয়ামস বলেন, ‘আমি এখানে অনেকদিন ধরেই আছি।  এখন আমি মনে করার চেষ্টা করছি কীভাবে হাঁটতে হয়। মহাকাশে আপনি  হাঁটতে পারবেন না। বসতে পারবেন না। শুতে পারবেন না। চোখ বন্ধ করে শুধু ভেসে থাকতে পারবেন। আমি ঠিক সেটাই করছি।’
নিজের বার্তায় সুনিতা জানালেন, মহাকাশে এতদিন থাকতে পেরে তাদের মন্দ লাগছে না। নিজেদের সেখানে বন্দি বলে তারা মনে করছেন না। এখানে তাদের জন্য খাবার, পানি সবই রয়েছে। এটিকে তারা নিজেদের বাড়ি বলেই মনে করছেন। যদি খুব মন খারাপ লাগে তাহলে স্পেস স্টেশনের বাইরে তারা একটু ঘুরে আসছেন। সেখানেও তাদের স্বাধীনতা রয়েছে।
মহাকাশে নিজের স্পেসওয়াক করে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন সুনিতা উইলিয়ামস। মহাকাশযানটির মেরামতির কাজ করতে গিয়ে সুনিতা নিজের অষ্টম স্পেসওয়াক করে ফেলেছেন। সেখানে তার সহযোগী ছিলেন নিক হগ। মহাকাশে স্পেসওয়াক করার সময় তার অভিজ্ঞতার কথা সকলের মধ্যে শেয়ার করেছেন সুনিতা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। সুনিতা এবং বুচ দু’জনেই মহাকাশে একে অপরের বিকল্প হিসেবে রয়েছেন। বোয়িং স্টারলাইনারই  তাদের নতুন বাড়ি। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার কাজ দ্রুত করছে নাসা। তবে যতদিন না তারা নিজেদের ঘরে ফিরছে, ততদিন সেটাই তাদের ঠিকানা।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

mzamin

No comments

Powered by Blogger.