একদিকে যুদ্ধবিরতি অন্যদিকে যুদ্ধ
ট্রাম্প গাজা দখল করে নেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন সে বিষয়ে কথা বলেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন। তারা বলেছে, গাজা উপত্যকা কিনে নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছে তারা। ট্রাম্পের দাবির পর বিভিন্ন দেশ থেকে কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে রোববারও ট্রাম্প গাজাকে কিনে নিয়ে এর মালিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমরা যে ক্ষতিকর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমরা কমপক্ষে ১২ লাখ ফিলিস্তিনির বিষয়ে কথা বলছি। তারা গাজায় বসবাস করেন। সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বড় ইস্যু। তিনি ট্রাম্পের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এসব মানুষই মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন অনুসরণ করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে সেখানেই। তবে এখনো বিস্তারিত বলা হয়নি। এ জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। ওদিকে গতকাল দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এই বিচার শুরু হয়েছে ২০২০ সালে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি ক্রিমিনাল মামলা আছে। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজের দোষ স্বীকার করেননি। প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারাকে নিয়ে একটি নিউজভিত্তিক ওয়েবসাইটে ইতিবাচক রিপোর্ট করার জন্য বেজেক টেলিকম ইসরাইলকে প্রায় ৫০ কোটি ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। এই মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে যে, ইসরাইলি নাগরিক ও হলিউড প্রযোজক আরনন মিলিচ্যান ও অস্ট্রেলিয়ার বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী জেমস প্যাকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী অন্যায়ভাবে দুই লাখ ১০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও আস্থা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইসরাইলের ইয়েদিওথ আহরোনথ পত্রিকার মালিক আরনোন মোজেসের সঙ্গে নেতানিয়াহু একটি চুক্তি করেছিলেন। সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাগুলোকে দমিয়ে রেখে আরনোন মোজেকের পত্রিকাকে বেশি সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেন। বিনিময়ে নেতানিয়াহুকে বেশি কাভারেজ দিতে হবে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও আস্থা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

No comments