সময়ের কাঁটা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ১০০ দিন বাকি। ডেমোক্র্যাট দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন না পেলেও কোমর বেঁধে ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন কমালা হ্যারিস। গত সাত দিনে তিনি যে ক’টি প্রচার সভা করেছেন, তার প্রতিটাতেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। শনিবারের সভায় বলেন, ‘‘আমি এক জন আইনজীবী। ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার সংজ্ঞা জানি। আমি হলফ করে বলতে পারি, ট্রাম্প একজন যৌন হেনস্থাকারী। এক অদ্ভুত ব্যক্তি ’’। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্টের প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে কমালা বলেন, আশা করি ট্রাম্প সাহস করে আমার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেবেন। তা হলে সরাসরি তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করব। এর মধ্যেই হ্যারিস-ট্রাম্পের একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প সেই বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকার করেন। গত বৃহস্পতিবার অন্তত দুটি এবং শুক্রবার একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোয় ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের ব্যবধান কমে এসেছে। এমারসন কলেজ ও দ্য হিল পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ চারটি রাজ্যে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের ৪৯ শতাংশের বিপরীতে হ্যারিস ৪৪, জর্জিয়ায় ট্রাম্প ৪৮ ও হ্যারিস ৪৬ শতাংশ, মিশিগানে ট্রাম্প ৪৬ ও হ্যারিস ৪৫ এবং পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ৪৮ ও হ্যারিস ৪৬ সমর্থন পেয়েছেন।
উইসকনসিনে ট্রাম্প ও হ্যারিস উভয়ই পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ সমর্থন। নিউ ইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের জরিপের ফলাফলও প্রকাশ হয় গত বৃহস্পতিবার। দেশব্যাপী নিবন্ধনকৃত ভোটারদের মধ্যে চালানো এ জরিপেও দেখা যায়, ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে মাত্র ২ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। যেখানে আগে বাইডেনের চেয়ে ৮ শতাংশে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে কমালা হ্যারিসের নাম সামনে আসার পর তাকে বামপন্থি ও উন্মাদ আখ্যা দিয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অতি-উদারপন্থী কমালা হ্যারিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ, বিশৃঙ্খলা, মারপিট এবং মৃত্যু ডেকে আনবে বলে প্রচার চালান তিনি । তার পাল্টা হিসেবে ট্রাম্পকে যৌন হেনস্থাকারী আখ্যা দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থীকে একহাত নিলেন কমালা।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
No comments