বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকীতে কাশ্মিরে বনধ পালিত, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে। গত সোমবার বনধকে কেন্দ্র করে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। হুররিয়াত কনফারেন্স প্রধান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানী, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মাদ ইয়াসীন মালিকের সমন্বিত যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ওই বনধের ডাক দেয়া হয়। 
বর্তমানে সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানী ও মীরওয়াইজ ওমর ফারুক নিজ বাসায় গৃহবন্দি এবং মুহাম্মাদ ইয়াসীন মালিক তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকীতে কাশ্মিরে বনধ পালিত, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর
আজ বনধকে কেন্দ্র করে গোটা কাশ্মির উপত্যকা জুড়ে দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। সড়কে যান চলাচল ও গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। শ্রীনগর আপটাউনে কিছু ব্যক্তিগত যান চলাচল করেছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মির এবং জম্মু বিভাগে রেল চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যটির গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর, দক্ষিণ কাশ্মির ও উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। বুরহান ওয়ানির নিজ শহরে কারফিউ জারি এবং ঢোকা ও বেরোনোর সমস্ত পয়েন্ট ‘সীল’ করে দিয়েছে। 
২০১৬ সালের ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি ও তার দুই সহযোগী নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে প্রায় ছয় মাস ধরে সেখানকার মানুষজনের বিক্ষোভ ও বনধকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে একশ’ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং দশ হাজার মানুষ আহত হন।
বুরহান ওয়ানির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে কাশ্মিরে সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে

No comments

Powered by Blogger.