দুবাইয়ে পাচার,ধর্ষণ,পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর দায়ে যাবজ্জীবন এক বাংলাদেশীর

বাংলাদেশী ১৭ বছর বয়সী এক বালিকাকে পাচার করে দুবাই নিয়ে ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক বাংলাদেশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত রোববার দুবাইয়ের ফার্স্ট ইন্সট্যান্স কোর্ট এ রায় দেয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ।
১৭ বছর বয়সী ওই বালিকাকে জোরপূর্বক সাত মাস পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এ সময়ে যে উপার্জন হতো তা দিয়ে তিনি তার পরিবারকে সাহায্য করতেন। অবশেষে দুবাই পুলিশ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে উদ্ধার করে। তাকে ইংরেজি আদ্যক্ষর এস.এ নামে প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তার আগে বাংলাদেশে তার বয়স ২৫ বছর দেখিয়ে পাসপোর্ট করা হয়। সংগ্রহ করা হয় ভিজিট ভিসা।
তাকে দুবাই নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশীর বয়স ৪৪ বছর। সে তাকে দুবাই নিয়ে নিজে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর দেশে তার মা ও বোনদের কাছে প্রতি মাসে ১৫০০ দিরহাম পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে জোর করে ঠেলে দেয় পতিতাবৃত্তিতে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দুবাই পুলিশ এ বিষয়ে গোপনে খবর পায়। তারা ফাঁদ পাতে। সেই ফাঁদে পা দেয় ওই বাংলাদেশী পাচারকারী। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং উদ্ধার করে ওই বালিকাকে। এ সময় ওই বালিকা পুলিশকে বলেছে, তাকে প্রথমে আল ঘাসাইস এলাকায় একটি ফ্লাটে রেখে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে।
দুবাই পুলিশের মানব পাচার বিরোধী বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ওই পাচারকারীকে ধরতে খদ্দের সাজিয়ে একজন ছদ্মবেশী পুলিশ সদস্যকে পাঠান ওই ফ্লাটে। এ সময় ছদ্মবেশী ওই পুলিশ সদস্য ওই ফ্লাটে গিয়ে ওই বালিকা সহ আরো ৬ জন পতিতাকে দেখতে পান। তিনি পুলিশকে সংকেত পাঠান। ফলে পুলিশ গিয়ে ওই ফ্লাটে ঘেরাও দেয়। উদ্ধার করে ওই বালিকাকে। অন্যদিকে অভিযুক্ত বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে পাচার, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো, পতিতালয় পরিচালনা ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.