মার্কিন প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতে পরিণত হয়েছে: ড. রুহানি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানের শীর্ষ রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা হাস্যকর। এর মাধ্যমে তারা নিলর্জ্জতার পরিচয় দিয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দপ্তরের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কেবল ইরানের নেতা নন বরং তিনি গোটা বিশ্বের ইসলামি বিপ্লবপ্রেমী ও মুসলমানের নেতা। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতে পরিণত হয়েছে।
আজ সোমবার তেহরানে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহানি বলেন, বর্তমানে লেবানন, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিয়া-সুন্নিসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভক্ত এবং তারা সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ মেনে চলেন। বিবেক-বুদ্ধি লোপ পেলেই কেবল কেউ এ ধরণের ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এই পদক্ষেপ হাস্যকর ও নির্লজ্জতা।
তিনি বলেন, আমেরিকা নতুন নিষেধাজ্ঞায় সর্বোচ্চ নেতার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছে। আসলে সর্বোচ্চ নেতার সম্পদ বলতে রয়েছে একটি হোসাইনিয়া (ধর্মীয় অনুষ্ঠানের স্থান) ও একটি সাদাসিধে বাড়ী।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতাদের মতো নন যে তাঁর বিদেশি অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ ডলার রয়েছে এবং আমেরিকা সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করবে। 
রুহানি বলেন, আমেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে তারা আলোচনার যে কথা বলছে তা মিথ্যাচার। তিনি আমেরিকার উদ্দেশে বলেন, আপনারা আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছেন। আপনাদের কথা যদি সত্য হয় তাহলে কেন আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার একই সময়ে আমাদের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছেন?
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন সম্প্রতি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। 
রুহানি বলেন, আলোচনা ইস্যুতে আমেরিকা মিথ্যা কথা বলছে।
সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি

No comments

Powered by Blogger.