হাসিনার রেকর্ড, নয়া চ্যালেঞ্জে যাত্রা শুরু

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ইতিহাসে চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়লেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীসহ  ৪৬ জনের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ যাত্রা শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নতুন সরকার। আর এ নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ শাসনের দায়িত্ব নিলো আওয়ামী লীগ। উন্নয়ন, গণতন্ত্র আর সুশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে সরকারের যাত্রার শুরুটাই অনেকটা চমকের। একঝাঁক তরুণ মুখ, সঙ্গে অভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া মন্ত্রিসভার সদস্যরাও জানিয়েছেন তারা সবাই নতুন কিছু করতে চান দেশের জন্য। নিজেদের কর্মদক্ষতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে যান উন্নয়নযাত্রা। গতকাল বিকাল তিনটা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ শেখ হাসিনাকে শপথ পাঠ করান।
নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছ থেকে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন ও গোপনীয়তার শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রী শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট তাকে অভিনন্দন জানান।
এরপরই প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন সূচনায় পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। এর আগে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে প্রবেশ করার পর পরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরী দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে নেন, গালে চুমু খান। পরে হাত নেড়ে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এরপর নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পর্যায়ক্রমে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। মন্ত্রিসভার এ শপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ১২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এবারের সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হলে তিনি বাংলাদেশে ২০ বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পাবেন। এটা হবে স্বাধীন বাংলাদেশের একটি রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশে যারা সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কেউই চারবারের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাননি।
এর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ২১ বছর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩শে জুন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নেন তিনি। গত ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।
এর ভিত্তিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী হলেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেখ রেহেনার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তার স্ত্রী পেপপি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সিইসি কেএম নূরুল হুদা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা নতুন সরকারের অভিষেকে উপস্থিত ছিলেন। একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বা তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তবে জোট শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সদ্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা এইচ টি ইমাম, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভীও ছিলেন বঙ্গভবনে। নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দোয়া চান। এ ছাড়াও দরবার হলের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিচারপতি, শিক্ষক, কূটনীতিকরাসহ প্রায় এক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নিতে বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেন বেলা ৩টার আগেই। তারা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, হাস্যরসে মেতে ওঠেন। নতুন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পা ছুঁয়ে সালাম করতে দেখা যায়। এদিনের শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবনের মাঠে চা চক্রে যোগ দেন সবাই। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এমপি হিসেবে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেয়ার পরের দিন আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। আগামীকাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি রয়েছে।
একজন শেখ হাসিনা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ২৩শে জুন প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ই জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই নির্বাচনের পরেই দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেখ হাসিনা নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং এই আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। ১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।
তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে সংগঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের মুখে ৩০শে মার্চ তৎকালীন সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তার সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রায় কার্যকর করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেসময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছয়বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নেয়ায় তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাকে দু’বার গৃহবন্দি করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২রা মার্চ তাকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ই অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দি ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ই নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হয়ে গৃহবন্দি হন। ১৯৯০ সালে ২৭শে নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৬ই জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ই জুন তিনি মুক্তি পান।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে। দল ও সরকার পরিচালনার পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত শেখ হাসিনা। বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করছেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.