নিজের রগরগে বিছানা-জীবন ফাঁস ওয়ার্নের

নিজেই একবার বলেছিলেন, তাঁর উইকেট সংখ্যার থেকে তাঁর শয্যাসঙ্গিনী বেশি। টেস্ট ও ওয়ান ডে মিলিয়ে ওয়ার্নের উইকেট ১০১১টি। তাহলে...
বাইশ গজে ঘূর্ণি আর মাঠের বাইরে নারী সঙ্গ— ওয়ার্নের জীবন বোঝার জন্য জোড়া এই কীর্তিই যথেষ্ট। মাঠের পারফরম্যান্স যেমন মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো, তেমনই ওয়ার্নের রঙিন জীবনও বারেবারে আলোচনায় উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ওয়ার্নের আত্মজীবনী ‘নো স্পিন’ প্রকাশ্যে এল। প্রকাশ পাওয়ার পরেই ওয়ার্ন ফের সংবাদ শিরোনামে। কারণ, এই বইয়েই যে ফের ওয়ার্নের বিছানা-জীবন জনসমক্ষে।
কী বলছেন ওয়ার্ন? ওয়ার্ন তখন ৩৬। সদ্য ডিভোর্স হয়েছে। ২০০৬ সাল নাগাদ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলছিলেন স্পিন-কিংবদন্তি।
সেই সময়েই তিনি নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত মডেল কোরালি এইজহোৎজ টেক্সট করে জানিয়েছিলেন, ‘‘তোমার পাশে আমার থাকা উচিত।’’
নিজের থ্রিসাম সেক্সের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে আগল খুললেন ওয়ার্নও। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘‘টেক্সট পাঠানোর পরেই কোরালি এক বান্ধবীকে চুম্বন করছে এমন ছবি আমাকে পাঠায়। আমি সাউদাম্পটনে ছিলাম। আর ওরা ছিল লন্ডনে। আমি তৎক্ষণাৎ পালটা জানাই, একঘণ্টার মধ্যেই আসছি।’’
কোরালি এইজহোৎজ ছিলেন তাঁর বান্ধবী এম্মা কিয়ার্নের ফ্ল্যাটে। ওয়ার্ন ভদকা ও শ্যাম্পেন সহযোগে যথারীতি হাজির হয়ে যান ফ্ল্যাটে। ওয়ার্ন নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘আমি পৌঁছনো মাত্র ওরা উত্তেজক নৃত্য করতে শুরু করে দেয়। একে অন্যকে চুমুতে চুমুতে অস্থির করে দিচ্ছিল। আমি বললাম, যেমনটা চলছে তেমনই চলুক। আমি এখানে বসে উপভোগ করি।’’ সোফায় বসেই ওয়ার্নের সামনে দুই বান্ধবী নিজেদের অন্তর্বাস খুলে ফেলেন।
তারপরেই শুরু হয় ‘রাসলীলা’! ওয়ার্ন রগরগে ভঙ্গিতে লিখেছেন, ‘‘গোটা ঘর অট্টহাসিতে ভরে উঠছিল। ওরা একের পর এক পেগ পান করেই চলেছিল। আমি দু’জনকেই ক্রমান্বয়ে চুম্বন করতে শুরু করে। প্রত্যেকে পরস্পরের অবশিষ্ট সুতো খুলতে সাহায্য করি। এর মধ্যেই হঠাৎ ওরা বিছানায় চলে আসে। তারপরেই আমরা ‘সেদিকে’ অগ্রসর হই।’’
উত্তেজক রাতে ওয়ার্ন বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরোন ২.৩০টা নাগাদ। সোজা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলে যান। সেখানেই গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে নেন বাকি রাত। রসালো রাতের পরে ওয়ার্ন খেলতে যখন নেমে মাঠ ছেড়েছিলেন যখন তাঁর নামের পাশে ৯৯/৭।
মাঠে চ্যাম্পিয়ন হলেও আঘাত এসেছিল ঠিক তারপরেই। সেদিন রাতেই ব্রিটেনের প্রখ্যাত ট্যাবলয়েড ‘নিউজ অব দি ওয়ার্ল্ড’-এর এডিটর ফোন করে ওয়ার্নকে জানান, তাঁর যৌনক্রিয়ার সমস্ত ছবি তাঁদের কাছে রয়েছে। ওয়ার্ন সরাসরি কোরালি এইজহোৎজ-কে ফোন করে জানতে পারেন, তাঁর বান্ধবী কিয়ার্ন গুপ্ত ক্যামেরায় সমস্ত ফুটেজ ধরে রেখেছিলেন এবং সেই ট্যাবলয়েডকে তা বিক্রিও করে দিয়েছেন।
ওয়ার্ন নিজের আত্মজীবনীতে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘আমি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে এই সমস্ত ট্যাবলয়েডের মুচমুচে গল্পের সঙ্গে লড়াই করেছি। এঁরা কেমন ধরণের মানুষ যাঁরা হিডন ক্যামেরায় সমস্ত কিছু ধরে রেখে তা পরে বিক্রি করে দেয়?’’
সূত্র - এবেলা

No comments

Powered by Blogger.