খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান, দায়সারা ইসি by রোকনুজ্জামান পিয়াস

প্রকাশ্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ, গণসংযোগকালে বাধা প্রদান, পুলিশি হুমকি-ধমকি, রঙিন ব্যানার ব্যবহার- আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ আসছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মারধর, বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার ঘটনাও নিত্যদিনের। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন অভিযোগ এনেছেন। তবে অভিযোগের পাল্লা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই ভারি। এছাড়া একই ধরনের অভিযোগ করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এর মধ্যে বেশকিছু ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও দেয়া হয়েছে সিটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের কাছে। তবে কোনো ঘটনাই এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কমিশনকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেই দায় সেরেছেন কমিশনের নির্বাচনী কর্মকর্তারা। অনেক অভিযোগ ঘটনা ঘটার আগে দিলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আবার কোন ঘটনার তদন্ত ঝুলে রয়েছে দিনের পর পর। আগামী ১৫ তারিখের নির্বাচনের আগে ওইসব তদন্ত শেষ হওয়ার কোনো আশা দেখছেন না অভিযোগকারীরা। তারা মনে করছেন এসব কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান শর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে।
গতকাল দুপুর ১২টায় খুলনা সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড এলাকায় মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে গণসংযোগ করছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ফুটবলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয় আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী-সমর্থক। তারা গণসংযোগে অংশ নেয়া একজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতেও শাসিয়ে যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর ২৩, ২৫ ও ৩০নং ওয়ার্ডের শতাধিক বাড়িতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা না চালাতে হুমকি দিয়ে আসে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেলা ২টার আগেই উভয়প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা শুরু কর হয়। তবে এ ব্যাপারে কমিশনের তদারকি নেই।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে গত ১৬ই এপ্রিলে দেয়া হলফনামার তথ্য গোপন। এ অভিযোগে বলা হয়, তালুকদার আবদুল খালেক নিজ পেশা ও ব্যবসার প্রকৃত তথ্য গোপন করেছেন। তিনি সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার এবং কমার্স ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান, নর্থ ওয়েন্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক। তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি নিয়মিত প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করেন। এছাড়া তিনি দলীয় মনোনয়নপত্রে ভোটার নম্বর উল্লেখ করেননি। ১৭ই এপ্রিল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খুলনা-৩ আসনের এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনের এমপি এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা, খুলনা-২ আসনের আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে ও মঞ্জুর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বিবৃতি দেয়। ২০শে এপ্রিল দেয়া অভিযোগে বলা হয়, নগরীর ২১নং ওয়ার্ডে মঞ্চ করে আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশ করে। ২১শে এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের আগেই নৌকায় ভোট চায় তালুকদার আবদুল খালেক, ২৩শে এপ্রিল এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনসহ রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। ২৮শে এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, ইন্টার্নি চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ ও কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত হতে বলা হয়। ওই সভায় উপস্থিত হয়ে ভোট চান তালুকদার আবদুল খালেক। ২৮শে এপ্রিল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জোড়াগেট কাঁচাবাজার চত্বরে মঞ্চ করে মাইকে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়। গত ১লা মে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে তালুকদার আবদুল খালেক সভা করেন। ওই সভায় তিনি তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে বিএনপির দেয়া অভিযোগে সভায় উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। ২রা মে তালুকদার আবদুল খালেক খুলনার সকল সরকারি ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সভা করেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনার আগেই বিএনপির পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হয়। এরপরও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের ১৯টি অভিযোগ দায়েরের কথা বলা হলেও খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন সূত্র ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তালুকদার আবদুল খালেকও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দুটি অভিযোগ এনেছেন। এরমধ্যে ১৯শে এপ্রিল হলফনামার তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি মঞ্জুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন। এছাড়া গত ২১শে এপ্রিল প্রার্থী বিএনপি প্রার্থী মেয়র মঞ্জুর বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ করেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উল্লেখ করেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে রঙিন ব্যানার ব্যবহার করেন। যা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীও। তারা তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এমন অভিযোগের সংখ্যা মাত্র ১০টি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দেয়া কোনো অভিযোগেরই সুরাহা হয়নি আজ পর্যন্ত। এমনকি অভিযোগ দেয়ার পর এই ঘটনা বারবার ঘটেই চলেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী বলেন, তারা অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে ইউনুচ আলী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো ছাড়া রিটার্নিং অফিসারের তেমন কিছু করার নেই। বিএনপি ও তাদের অভিযোগের তালিকার গরমিলের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় একই ধরনের অভিযোগ বারবার দেয়া হয়। সেটা কাউন্ট করা বা ধরা হয় না।
বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব: গ্রেপ্তার ৫
খুলনা মহানগরীর এলাকায় পুলিশ ও ডিবির অভিযানে বিএনপির ৫ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেয় পুলিশ। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপি নেতা সুমনকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই মারপিট করে গুরুতর আহত করা এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ধানের শীষের গণসংযোগকালে হামলার শিকার হন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব এহতেশামুল হক শাওন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধানের শীষ প্রতীকের কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর শাখার সভাপতি এবং আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। গণগ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে অভিযোগ করতে তিনি খোদ পুলিশ কমিশনারকে ফোন করলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চান, মাঠ পর্যায়ে তো এভাবে গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশ আমি দেইনি! বিএনপি নেতা মঞ্জু বলেন, কেএমপি কমিশনার যদি অভিযান সম্পর্কে না জানেন, তবে জানতে চাই, মাঠ পর্যায়ের পুলিশ চলছে কার হুকুমে?
পুলিশের এই গণগ্রেপ্তার অভিযান, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও পরিবারের নারী-শিশু-বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার ও হুমকি প্রদান বন্ধ না হলে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণকে নিয়ে রূপসা থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেয়ার কর্মসূচি নেবেন এবং জনগণের কাছে সরকার ও প্রশাসনের অনিয়ম সম্পর্কে নালিশ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রাতে পুলিশের অভিযানে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সম্পাদক একরামুল কবির মিল্টন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন টারজান, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হাওলাদার ও দৌলতপুরের শ্রমিক দল নেতা লোকমান হোসেন। এছাড়া বুধবার দুপুরে দোলখোলা রোডস্থ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আজিজ সুমন। বিপুলসংখ্যক সাদা পেশাকধারী ডিবি পুলিশ তার বাড়ি ঘিরে ফেলে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ সদস্যরা বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও পরিবারের অন্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন।
কেএমপি সদর দপ্তরে গতকাল দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির পিপিএম বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ঢালাওভাবে তাদের নেতাকর্মীদের অহেতুক গ্রেপ্তারের যে অভিযোগ করে চলেছেন, তা মোটেও সত্য নয়। এটা তাদের একটি নির্বাচনী কৌশল হতে পারে।
কমিশনার বলেন, যারা নাশকতা করেন, মাদকের ব্যবস্যা করেন তাদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। কোনো রাজনৈতিক দল যদি গ্রেপ্তারকৃতদের তাদের নেতা বলে দাবি করে, তাহলে পুলিশের কিছু করার নেই।
এর আগে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন, সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করে চলেছেন। বারবার অসত্য তথ্য পরিবেশন করে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন তিনি। আমাদের যদি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে সকাল ৭টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত গণসংযোগ করতাম না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনার রশীদ, কাজী আমিনুল ইসলাম, সুজিত রায় নন্দী, ইসহাক আলী খান, মুন্সী মাহবুবু আলম সোহাগ প্রমুখ।
নির্বাচন থেকে সরে যাবে না বিএনপি: মঞ্জু
বিএনপি মনোনীত ও ২০দলীয় জোট সমর্থিত কেসিসি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ‘আজকেও একটি নির্ঘুম রাত কেটেছে আমার। গতকাল দুপুর থেকে আবার দ্বিতীয় দফায় পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে শহরময়। পাঁচটি থানায় এ সাঁড়াশি অভিযানে শত শত পুলিশ অংশ নিয়েছে। গতকাল দুপুরে এ সংবাদ পাওয়ার পর আমি পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছিলাম; তিনি আমাকে বলেছিলেন যে গ্রেপ্তার অভিযান করার মতো নির্দেশনা আমাদের নাই। তার বক্তব্যকে সত্য ধরেই আমি অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু গতকাল সারা রাতে অন্তত দুই শ’ নেতাকর্মী বাড়িতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে। সরকারের পরাজয় ঠেকাতে পুলিশকে অসৎভাবে ব্যবহার করছে। যতই ঝড় আসুক বিএনপি তথা ২০ দল এ নির্বাচন থেকে সরে যাবে না। বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীদের এখনো মনোবল অটুট। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর মিয়াপাড়াস্থ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপরোক্ত কথা বলেন।

No comments

Powered by Blogger.