মরা পশুর মাংস সরবরাহ হত বাংলাদেশেও

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করার অভিযোগে। এই মরা মাংস সরবরাহের কারবারে যুক্ত অনেক রাঘব বোয়াল। কল্যানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক সাবেক পুর কাউন্সিলরকে। যোগ পাওয়া গেছে, নামী সংস্থারও। সেইসঙ্গে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই পঁচা মাংস সরবরাহ করা হত বাংলাদেশেও। আর তাই রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপারদের।
বৃহষ্পতিবার কলকাতার বুকে একটি কোল্ড স্টোরেজে ৭০ টন পচা মাংস মজুত রাখার খবর ফাঁস হওয়ার পর শুক্রবার নিউটাউন থেকে হদিশ পাওয়া গেছে, মরা মুরগির মাংসের অবৈধ কারবারের। সর্বত্রই পঁচা মাংসগুলি বেশ আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ফ্রিজারে রাখা হত বলে পুলিশ জানতে পারে। বজবজের ভাগাড়ের মাংস কান্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত-সহ আরও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জেরা করে ভয়ানক সব তথ্য জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা মাংসের মধ্যে কুকুরের মাংসও আছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে ধৃতরা। ভাগাড় থেকে মাংস এনে প্রথমে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হত। সেখানেই মেশানো হত নানান রাসায়নিক, যাতে পঁচা মাংসও টাটকার মতো দেখায়। তার পর সেই মাংস প্যাকেট করে পৌঁছে যেত বাজারে। মিশে যেত টাটকা মাংসের সঙ্গে। গত বৃহষ্পতিবার দক্ষিন ২৪ পরগণার বজবজে এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্রকে প্রথম স্থানীয মানুষ হাতে নাতে ধরে ফেলেন। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে তাদের অপরাধ।

No comments

Powered by Blogger.