কবিরকে নেয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুর

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হবে। ১৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বোর্ড মিটিংয়ে গৃহীত এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, কবির হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পরিবারের সম্মতিক্রমে এবং ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, সম্ভব হলে রোববার অথবা সোমবারই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হবে। ঢামেকে তার চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হয়নি বলেও জানান এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ব্রিফিংয়ে বোর্ড সদস্য ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আহত কবিরের ফুসফুস ও লিভারে আঘাতের কারণে তার কার্যক্ষমতা কিছুটা কমে গেছে। শ্বাসনালি ঠিকমতো কাজ করছে না। এছাড়া তার শরীরে ফ্র্যাকচার রয়েছে। এ কারণে এখনো তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ঢামেকে আনার আগে তার নিউমোনিয়া ও জন্ডিসের যে সমস্যা ছিল সেগুলো বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি। অপর আহতদের ব্যাপারে তিনি জানান, শাহিন ব্যাপারীর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো, তাকে এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত অপর রোগীরা ভালো রয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহত সাতজনের মধ্যে শাহরিন, কবির ও শাহিনের শ্বাসনালিতে সমস্যা রয়েছে। শাহিন ও শাহরিনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে গত বুধবার। তারা এখন আইসিইউতে রয়েছেন।
সব হারানো মাহি চাচার বাসায়: বাবার লাশ দাফনের চারদিনের মাথায় শুক্রবার মাকেও দাফন করলো তানজিদ বিন সুলতান মাহি। দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম স্বামীর শোকে অসুস্থ হয়ে শুক্রবার মারা যান। বাবা-মাকে হারিয়ে একা হয়ে যাওয়া মাহি চাচা প্রফেসর ডা. খোরশেদ মামুদ বাবুর বাসায় আছে।
মাহির চাচা প্রফেসর ডা. খোরশেদ মামুদ বাবু শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে কর্মরত। থাকেন পল্লবীতে। ডা. খোরশেদ মামুদ বাবুর বন্ধু মো. হাসানুজ্জামান আকন্দ স্বপন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, তানজিদ কিশোর বয়সেই একা হয়ে গেল। সে তার চাচার সঙ্গে থাকবে। তার চাচারও এক মেয়ে। তবে সামনে তানজীদের ও লেভেলের পরীক্ষা। পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে চায়। অন্তত এক সপ্তাহ চাচার বাসায় থাকার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাকে ক্লাস ও কোচিংয়ের জন্য উত্তরায় আনা-নেয়া করা হবে, না তার পড়াশুনা-পরীক্ষার জন্য চাচী উত্তরার বাসায় এসে থাকবেন। তবে সবাই তাকে এই শোক থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে। আজ বিকালে তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছে বাবু। আগামী শুক্রবার বাদ আসর মহাখালীর একটি ক্লাবে তার মায়ের চেহলাম অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.