স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রম করছে। এ ৪৭ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কতটা এগিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য কতটা অর্জিত হয়েছে? সেসব নিয়ে আজ মূল্যায়ন করছেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, সুশিল সমাজের নের্তৃবৃন্দ,মানবাধিকার সংগঠন এবং শ্রমিক নের্তৃবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরউল্লাহ চৌধুরী রেডিও তেহরানকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে মুল চেতনা একটি বৈষম্যহীন সমাজ সেটা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ন্যায় বিচার ও আইনের শাষন আজ সুদূর পরাহত।
সুশিল সমাজের নেতা এবং সুজন সম্পাদক ড.বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা একটি পতাকা পেয়েছি, একটি দেশ পেয়ছি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে এটা ঠিক তবে মানুষের মৌলিক অধিকার সুশাসন ও ন্যায় বিচার! মুক্তিযুদ্ধের এসব আকাংখা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
একই রকম হতাশার কথা ব্যক্ত করে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী জনাব নুর খান রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশে অনেক দৃশ্যমান উন্নতি ঘটলেও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এখানে আইন শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে এখন নিয়মিতই অভিযোগ তুলছে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার সাথে তাদের সংশ্লিষ্ঠতা নিয়ে ।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন রেডিও তেহরানকে বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে শ্রমজীবি মানুষের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। মুক্তবাজার অর্থনীতির যাতা কলে পিষ্ঠ শ্রমিকরা। এমনকি বেঁচে থাকার জন্য ন্যুনতম মুজুরী পেতে আজও তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।
হিল ওমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপমা চাকমা রেডিও তেহরানকে বলেন, সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে নারীদের অবস্থান থাকলেও সমাজে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন আগের চেয়ে বেশি ঘটছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অবস্থা আরো করুণ। মক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের মানুষ পাক সেনাদের অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ এসব সহ্য করেছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে সে অবস্থা এখনও বিরাজ করছে।



No comments

Powered by Blogger.