শ্রীলঙ্কায় মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত পুলিশ রাজনীতিক!

শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত ছিল স্থানীয় পুলিশ ও রাজনীতিকরা। প্রত্যক্ষদর্শী, কর্মকর্তাদের বক্তব্য এবং ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশের ভূমিকা ও স্থানীয় কিছু বৌদ্ধ রাজনীতিকের কর্মকাণ্ডে এটা স্পষ্ট যে, ওই সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর শ্রীলঙ্কার সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। সহিংসতায় উসকানি দিয়েছিলেন ওইসব বৌদ্ধ উগ্রপন্থি। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছিল। অভিযোগ আছে, এরা শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসের অনুসারী। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজাপাকসে। তিনি বলেছেন, তিনি বা তার দলের কেউই এতে জড়িত নন। তবে পুলিশ বলেছে, তারা এমন অভিযোগে তাদের কর্মকর্তা ও রাজনীতিকদের জড়িত থাকার বিষয় অনুসন্ধান করছে। ওদিকে রয়টার্স যে সিসিটিভি দেখেছে তাতে দেখা যায়, অভিজাত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা, স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের অবমাননা করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কমান্ডাররা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একটি মসজিদে ইমামতি করেন এ এইচ রামিস। তিনি বলেন, আমাদেরকে যাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা তারাই হামলা চালাতে এসেছিল। তারা চিৎকার করছিল। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছিল। তাদের আচরণ ছিল সন্ত্রাসীদের মতো। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্র রুওয়ান গানসেকারা বলেছেন, তারা এসব অভিযোগের তদন্ত করছেন। দ্বিতীয় আরেকটি ইউনিট রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্যান্ডি এলাকায় মুসলিমদের ওপর সহিংস আক্রমণ করে বৌদ্ধরা। এ সময় তারা মুসলিমদের মসজিদ, ঘরবাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়। ভাঙচুর করে। ফলে সরকার বাধ্য হয়ে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করে।

No comments

Powered by Blogger.