বরিশালে মেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেফতার ১

নিহত সাদিয়া, গ্রেফতারকৃত সিরাজুল
বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে (২১) অপহরণ করে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ওই উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের পুত্র সিরাজুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, ধর্ষণের বিষয়টি ওই ছাত্রী ফাঁস করার হুমকি দেয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব জানান, গত ২০ নভেম্বর নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের ডেফুলিয়া খান বাড়ীর বাসিন্দা আলমগীর হোসেন খানের কন্যা ওই ছাত্রী কলেজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সাদিয়ার পিতা ২২ নভেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে এবং ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ সিরাজুল ইসলামকে আটক করে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি আটককৃত সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে আরও জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সাথে ঘটনার ১৫ দিন পূর্বে সিরাজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত ২০ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ায় এনে তার সহযোগীদের নিয়ে একাধিকার ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের বিষয়টি ওই ছাত্রী ফাঁস করার হুমকি দেয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়া হয়। ওসি আরও জানান, এখন পর্যন্ত নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকের জন্যও পুলিশের অভিযান চলছে বলেও ওসি উল্লেখ করেন।
বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা
বাল্যবিয়ের শিকার বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা কিশোরী সিমা আক্তার (১৬) শনিবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত সিমা ওই এলাকার সিরাজ সিকাদারের কন্যা। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামী মেহেদী হাসানের সাথে অভিমান করে সিমা পরিবারের সবার অজান্তে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্বজনরা মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাউনিয়া থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের না করায় লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.