মহিউদ্দিনের কুলখানিতে ৮০ হাজার মানুষের মেজবান

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি আজ সোমবার।

এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল এবং নগরীর ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের মেজবান আয়োজন করা হয়েছে।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, সোমবার দুপুর থেকে ৮০ হাজার মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে সকাল  ১১টায় পাঁচলাইশ থানার বিপরীতে দি কিং অব চিটাগাং ও জিইসি মোড়ে কে স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে কুলখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কুলখানি শেষে মেজবান খাওয়ানো শুরু হবে।

সকাল থেকেই রুহের মাগফেরাত কামনায় মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার চশমা হিলের বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মেজবানির জন্য যে ১২টি সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে সেগুলো হল - পাঁচলাইশ এলাকার ‘দি কিং অব চিটাগাং’, জিইসির মোড়ের ‘কে স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার’, চকবাজারের ‘কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার’, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ‘সুইস পার্ক কমিউনিটি সেন্টার’, লাভ লেনের ‘স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার’, মুরাদপুর এলাকায় ‘এন মোহাম্মদ কনভেনশন হল’, বাকলিয়ার ‘কেবি কনভেনশন হল’, কাজির দেউড়ির ‘ভিআইপি ব্যাকুইট কমিউনিটি সেন্টার’ এবং ‘সাগরিকা স্কয়ার’, ডাবল মুরিংয়ের ‘গোল্ডেন টাচ কমিউনিটি সেন্টার’।

এছাড়া  হিন্দু,  বৌদ্ধ,  খ্রিস্টান ও অন্যান্যদের ধর্মালম্বীদের জন্য জামালখানের ‘রিমা কনভেনশন সেন্টার’-এ আলাদা বেবস্থা করা হয়েছে।

নওফেল জানান, চশমা হিলের বাসভবনে নারীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তার মা অন্যান্য নারী নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন।   

এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা,  মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য কুলখানিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও তিনি জানান।

গত শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।
শুক্রবার বিকেলে লালদিঘী ময়দানে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় চশমা হিলের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

No comments

Powered by Blogger.