অশান্ত দার্জিলিং ছাড়ছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা

দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন আবাসিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড় ছাড়ছে। বিভিন্ন স্কুলের বাসে করে তাদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সমতলের শিলিগুড়ি শহরে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও রয়েছে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্দেশে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছেড়ে যেতে বলেছে।
রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যালয় পর্যায়ে বাধ্যতামূলকভাবে বাংলা ভাষা পড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ১২ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ পালন করছে।
জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে আজ শুক্রবারের মধ্যে জিটিএ বা গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৪৫ জন সদস্যকে পদত্যাগ করতে ঘোষণা দেয়। এমনকি এই পদত্যাগপত্র আজই লালকুঠিতে জিটিএর সদর দপ্তরে প্রধান সচিবের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আগামী রোববার পদত্যাগ করবেন জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং।
২০১১ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসে দার্জিলিং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দার্জিলিং চুক্তি করেছিলেন। এই চুক্তিবলে গড়েছিলেন এই জিটিএ। পরে জিটিএর নির্বাচনে জয়ী হয়ে এই স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান হন বিমল গুরুং। এবার সেই জিটিএ থেকে বিমল গুরুং তাঁর দলবল নিয়ে সরে যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিংয়ে আর বাড়তি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগ করা হবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরও ৪ কোম্পানি বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। বর্তমানে এখানে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এক প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে আরও বাহিনী নিয়োগ করলে দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এই রিপোর্টের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের জারিকৃত নির্দেশে দার্জিলিংয়ে ২৭ জুন পর্যন্ত ইন্টারনেট ও কেব্‌ল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.