স্বেচ্ছাশ্রমে কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু

রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যানপাড়া গ্রামে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দুই শতাধিক লোকজন কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর, বুড়িঘাট, কুতুকছড়ি ও সাবেক্ষ্যং এবং রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা কলেজটি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। নাম দেওয়া হয়েছে মাউরুম কলেজ। ওই সব এলাকায় অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। উচ্চবিদ্যালয় ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে আটটি। এসব এলাকার শিক্ষার্থীদের এসএসসি পাসের পর রাঙামাটি শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। চেগেয়াছড়ি গ্রামের কার্বারি দয়াল চাকমা বলেন, রাঙামাটির মানিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি পর্যন্ত কোনো কলেজ নেই। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা দূরের কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে না। এতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। তাই এলাকায় একটি কলেজ প্রয়োজন। কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রভারঞ্জন চাকমা বলেন, এই বছর থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান করা হবে।
স্থানীয় ভূমিদাতা নয়ন জীবন চাকমা বলেন, এলাকার ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার কথা ভেবে তিনি ৮০ শতক জমি কলেজের নামে দান করেছেন। বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬০ ফুট দীর্ঘ ও ২১ ফুট প্রস্থের টিনের ঘর নির্মাণ করা হবে। এতে কক্ষ থাকবে ৮টি। কুতুকছড়ির একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী জয়া চাকমা বলল, এখানে কলেজ হলে তাদের আর দূরে যেতে হবে না। মাউরুম কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অমর জীবন চাকমা বলেন, আসন্ন শিক্ষাবর্ষ সামনে রেখে তাঁরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি তাঁরা কলেজের একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, উদ্যোগটি খুবই ভালো। তবে কলেজ পরিচালনা বেশ ব্যয়বহুল। জনগণের প্রচেষ্টায় যদি শুরু করা যায় তাহলে অবশ্যই সফলতা আসবে।

No comments

Powered by Blogger.