হিলারি ‘অসতর্ক আচরণ’ করেছেন

হিলারি ক্লিনটন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রীয় কাজে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে করা তদন্তের নথি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই বিষয়ে হিলারিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন, সেই মুহূর্তেই তদন্ত নথি প্রকাশ করল এফবিআই। হিলারির নির্বাচনী শিবির থেকে নথি প্রকাশের ঘটনায় ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করে স্বীকার করা হয়েছে, তখন হিলারির পদক্ষেপ ছিল ভুল। অবশ্য ট্রাম্প ও তাঁর নির্বাচনী শিবির হিলারির বিরুদ্ধে আরও চড়াও হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, হিলারির বক্তব্য ‘অগ্রহণযোগ্য’ ও ‘অবিশ্বাস্য’। হিলারি ‘চরম অসতর্ক ছিলেন’ উল্লেখ করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনার পক্ষে সুপারিশ করেননি এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমে। ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি আইন লঙ্ঘন করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে এক বছর ধরে তদন্ত করেছে এফবিআই। গত জুলাইয়ে তদন্ত শেষ হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ৫৮ পাতার নথিতে হিলারির সাক্ষাৎকারসহ নিউইয়র্কে তাঁর বাসভবনের ব্যক্তিগত সার্ভার সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য আছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমে বলেছেন, গোপনীয় তথ্যের বিষয়ে হিলারি ও তাঁর কর্মীরা ‘অসতর্ক’ আচরণ করেছেন এটা নিশ্চিত। তবে তাঁরা জেনেশুনে এ কাজ করেছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোমে জানিয়েছেন, গোপনীয় তথ্য কীভাবে সামলাতে হয় সে বিষয়ে ‘বুদ্ধিমত্তা’ প্রদর্শন করতে পারেননি হিলারি। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা গোপনীয় তথ্য সামলানোর বিষয়ে ‘অত্যন্ত অসতর্ক’ ছিলেন। এক বার্তায় এফবিআই জানিয়েছে, তদন্তে জানা গেছে, বহির্বিশ্ব থেকে হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তাঁর ও তিনি যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের ই-মেইলের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের নথিতে দেখা যায়, তদন্তকারীদের হিলারি বলেছেন, শুরুতে ‘সি’ চিহ্ন যুক্ত ই-মেইলগুলো যে গোপনীয় তা তিনি বুঝতে পারেননি তখন। তিনি মনে করেছিলেন, তা বর্ণ-ক্রমিক হয়ে আসা ই-মেইল। হিলারি গোয়েন্দাদের বলেন, তিনি গোপনীয় বিষয়গুলোর শ্রেণিবিন্যাসের দিকে না দিয়ে সব গোপনীয় নথিই ‘গুরুত্বের’ সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নথি প্রমাণ করে হিলারি প্রচণ্ড অসৎ এবং বিবেচনাবোধহীন ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এটা দেখে যে মার্কিন জনগণকে হিলারি যা বলেছিলেন এবং এফবিআইকে যা বলেছেন, তা পুরো সাংঘর্ষিক। নথি পড়ার পর আমি বুঝতে পারছি না তিনি কীভাবে বিচার এড়িয়ে যান।’

No comments

Powered by Blogger.