সমস্যা জিইয়ে রাখাই কি নগর কর্তৃপক্ষের কাজ?

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানির কারণে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদসহ অনেক এলাকায় এখন প্রায়ই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে মানুষকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু এই জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। ৪ জুলাই প্রায় দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানির কারণে অনেক এলাকা ডুবে যায়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। অনেক এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমরপানি ওঠে। প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা এই পানি ছিল। আগ্রাবাদ ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় পানি ওঠার জন্য মহেশখালে বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাঁধকে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জরুরি ভিত্তিতে এই বাঁধ সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। জোয়ারের পানি ঠেকানো ও বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জন্য মহেশখালে স্লুইসগেট বসানোর প্রয়োজন আছে কি না,
বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যাতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা না দেয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরে পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে। লালখান বাজার, ফয়’স লেক, আকবর শাহ, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা, সেনানিবাস-সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যে এসব এলাকায় পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সতর্কবার্তার ভিত্তিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই সব এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিলেও দু-এক দিন পরই তারা আবার ফিরে আসে। সস্তায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় বলে স্বল্প আয়ের লোকজন এসব এলাকায় বসবাস করে। সরকারের উচিত এসব লোকজনের জন্য অন্য কোথাও স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া লোকজনকেও সতর্ক হতে হবে। তাহলে পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমবে।

No comments

Powered by Blogger.