কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ সেখানে চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় গণমাধ্যমের ওপর চড়াও হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেল। গত ৮ জুলাই পাকিস্তানের তরুণ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন। এরপর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত হয় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ। আহত হয় হাজারের বেশি। এরপর থেকেই এ অঞ্চলে কারফিউ জারি আছে। নিরাপত্তা বাহিনী গত শনিবার কাশ্মীর টাইমস, গ্রেটার কাশ্মীর, কাশ্মীর ইমেজেস এবং রাইজিং কাশ্মীর নামের কয়েকটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ ছাড়া কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। কয়েকটি পত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ তাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া সংবাদপত্রের দোকান থেকে পত্রিকার কপি নিয়ে গেছে।
রাইজিং কাশ্মীর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্পাদকদের বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে আগামী তিন দিন কঠোরভাবে কারফিউ বলবৎ থাকবে। তাই এ পরিস্থিতিতে সংবাদপত্রকর্মীদের চলাচল এবং পত্রিকার বিতরণ সম্ভব হবে না। রাইজিং কাশ্মীর-এর সম্পাদক সুজাত বুখারি এ পরিস্থিতিকে ‘অনভিপ্রেত’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের পত্রিকা ছাপাতে নিষেধ করেনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যাতে তা বের করা সম্ভব না হয়।’ বুখারি বলেন, ‘যদি সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে গুজব ছড়াবে। পত্রিকার পাশাপাশি টেলিভিশন চ্যানেলও নেই। কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে?’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশ্মীরের এক মন্ত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত সঠিক। কেননা এখানে কেবল টেলিভিশন সম্প্রচারকারীরা পাকিস্তানি চ্যানেল দেখায়। সেসব চ্যানেলে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দেওয়া হয়।’

No comments

Powered by Blogger.