উত্তাল কাশ্মীরে নিহত ১১ বিক্ষোভকারী

কাশ্মীর উপত্যকা ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কাশ্মীরি জঙ্গিদের ‘পোস্টার বয়’ বুরহান মুজাফফর ওয়ানির দাফনকে কেন্দ্র করে অশান্ত উপত্যকায় গতকাল শনিবার এগারো জনের মৃত্যু হয়। একজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। উত্তেজিত জনতা তিনটি থানায় আগুনও লাগিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা উপত্যকায় কারফিউ জারি থাকবে। বছর দুয়েক ধরে বুরহান ওয়ানি কাশ্মীরি জঙ্গিদের মুখচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রাল এলাকার ২২ বছরের এই সুদর্শন যুবক হয়ে ওঠেন হিজবুল মুজাহিদীনের স্বঘোষিত কমান্ডার। শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগ এলাকায় হানা দেয়। দুই সঙ্গীসহ বুরহান এই হানায় নিহত হন। গতকাল বুরহান ও তাঁর সঙ্গীদের দাফন সম্পন্ন হয়।
গোলমালের আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই উপত্যকায় কারফিউ জারি করেছিল। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের অমরনাথ যাত্রাও স্থগিত রাখা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল বুরহানের নিজস্ব এলাকা ট্রালে বিপুল জনসমাগম হয়। সেখানে কিছু না হলেও দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজিত ও মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে দুজনের মৃত্যু হয়। অন্য একজনের মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি শিবিরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আক্রমণ করলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। কাশ্মীরে জঙ্গিদের দাফনকে ঘিরে সব সময়ই অশান্তি মাথাচাড়া দেয়। কখনো কখনো পুলিশ নিহতের দেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে না দিয়ে নিজেরাই দাফন সম্পন্ন করে। বুরহানের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রশাসন তা করেনি। কেন করেনি, সে বিষয়ে সরকার বা নিরাপত্তারক্ষীদের কেউ কিছু জানায়নি।

No comments

Powered by Blogger.