নতুন সরকারে কোনো পদ নিচ্ছেন না সু চি

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি নতুন সরকারে কোনো পদে থাকছেন না। নিজের দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান হিসেবেই নতুন সরকারকে ‘নিয়ন্ত্রণ করবেন’ সু চি। এনএলডির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ কথা বলেছেন। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে এনএলডি বিপুল বিজয় পায়। তবে সামরিক বাহিনীর তৈরি সংবিধানে তাঁকে লক্ষ্য করে রাখা বাধ্যবাধকতার জন্য সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। সু চির স্বামী ও দুই ছেলে ব্রিটিশ নাগরিক। মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে, কারও স্বামী-স্ত্রী বা সন্তান বিদেশি হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এনএলডির মুখপাত্র জ মিন্ট মং বলেন, ‘সরকারে কোনো পদ নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় এমন অনেক সদস্যই আছেন যাঁরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। কিন্তু তাঁরা কখনো মন্ত্রী হন না।’ এনএলডির এ নেতা বলেন, মিয়ানমারেও একই অবস্থা। সু চি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
সেই অর্থে তিনি সরকারেরও নেতৃত্ব দেবেন।’ এনএলডির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই সু চির ভূমিকাকে ভারতের কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে তুলনা করেন। ভারতের সাবেক মনমোহন সিং সরকারের ওপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ছিল সোনিয়ার। গত সপ্তাহে এনএলডির সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্য দলের নেতা থিন কিউকে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মিয়ানমার পায় প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট। নভেম্বরের নির্বাচনের প্রচারাভিযানে সু চি এটা স্পষ্ট করেন যে, প্রেসিডেন্ট হতে পারেন আর না পারেন; তিনিই দেশের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। তিনি ‘প্রেসিডেন্টের ওপরে’ থাকবেন, এমন কথাও বলেন সু চি। নির্বাচনের পর সেনাবাহিনীর অনমনীয় মনোভাবের কারণে সংবিধান সংশোধন সম্ভব না হওয়ায় সু চিরও প্রেসিডেন্ট হওয়া হয়নি। একপর্যায়ে এমন কথাও আলোচিত হয়েছিল যে, তিনি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন।

No comments

Powered by Blogger.