পরমাণু বোমা না থাকলে সাদ্দাম-গাদ্দাফি হতে হয়: উ. কোরিয়া

পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে শক্তিশালী না হলে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির যে পরিণতি হয়েছিল, সেই পরিণতিই ভোগ করতে হবে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার রাতে দক্ষিণের উদ্দেশে এমন কড়া হুশিয়ারি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে উত্তরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। খবর এএফপির।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়াকে উসকানি দিতে লাউড স্পিকারে মাইক বাজিয়ে কোরীয় সঙ্গীত ও উত্তরের বদনাম প্রচার শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দিয়ে এমন বার্তা প্রচার করেছে উত্তরের সরকারি সংবাদ সংস্থা। ওই হুশিয়ারিতে বলা হয়েছে, বাইরের আগ্রাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে বলিয়ান হওয়াই আবশ্যক। যা পূর্বের যুদ্ধাস্ত্র ‘তলোয়ার’র ন্যায় কাজ করে। ইতিহাসই তার চূড়ান্ত সাক্ষী। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির পরিণতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে,
পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরমাণু শক্তির উন্নয়ন থেকে সরে আসায় তাদের এমন ভয়াবহ পরিণতি হয়েছে, যা বিশ্ববাসী জানে। পরমাণু দাপট ছিল না বলেই পশ্চিমা শক্তির চাপে দু’দেশের দুই নেতাকে এমন গ্যাঁড়াকলে পড়তে হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, সাধুবাদ জানাতেও যুক্তরাষ্ট্র, আবার নিন্দা প্রকাশেও যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক-লিবিয়ার সুপরিচিত ওই দুই নেতার পরিণতিতে যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী বলে মন্তব্য করেছে কেসিএনএ। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষায় কোরীয় অঞ্চলকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে। এর প্রতিবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কোরীয় শান্তি নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।

No comments

Powered by Blogger.