বিদায় ২০১৫ স্বাগত ২০১৬

আশা-নিরাশা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির দোলাচলে কালের আবর্তে হারিয়ে গেলো আরও একটি বছর। নতুন স্বপ্ন আর সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে নতুন বছরের। ২০১৬ সাল। নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ স্বাগত জানাবে নতুন বছরকে। মেতে উঠবে নতুন বছরের আগমনী উল্লাসে। গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্নের। বাংলাদেশে গ্রেগোরিয়ান নববর্ষ পালনের ধরন বঙ্গাব্দের নববর্ষ পালনের মতো ব্যাপক না হলেও এ উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়। যদিও ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে নববর্ষ উদযাপনে। নিরাপত্তার কারণে সন্ধ্যার পর সারা দেশেই বর্ষবরণের কোনো আয়োজন ছিল না। এছাড়া ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও ছিল কড়াকড়ি। তবে বিভিন্ন হোটেল ও ক্লাবে সীমিত পরিসরে কিছু অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এদিকে বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজনে বরণ করা হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ। যদিও নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন শহরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ছিল নিরাপত্তাজনিত কড়াকড়ি। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাণীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় খ্রিষ্টীয় নববর্ষ সবাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। কালের বিবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, দেশব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। সকলের মাঝে জাগে প্রাণের নতুন স্পন্দন। কোনো ধরনের অপসংস্কৃতি যেন আমাদের এই আনন্দধারাকে ব্যাহত করতে না পারে সে লক্ষ্যে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ তাকে পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের জন্য আইটিইউ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, ‘পরনির্ভরশীল অর্থনীতির চক্র ভেঙে আজ আমরা আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতির দ্বারপ্রান্তে। নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। গত ডিসেম্বরে মূল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.