১৫ জানুয়ারির বৈঠক হচ্ছে!

নরেন্দ্র মোদি ও নওয়াজ শরীফ
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সীমান্তবর্তী পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তানের আলোচনা যাতে ভেস্তে না যায়, সে জন্য দুই দেশই জোর তৎপরতা শুরু করেছে। ১৫ জানুয়ারি ইসলামাবাদে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। তবে শেষ পর্যন্ত তা হবে কি না তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে। খবর রয়টার্সের। ভারতের কর্মকর্তাদের দাবি, পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে যারা হামলা করেছে তারা যে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের সদস্য, এ বিষয়ে ভারত প্রায় নিশ্চিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন লোকজনের টেলিফোন নম্বর, ফোন কলের রেকর্ড এবং কোন এলাকা থেকে পাঠানকোট হামলার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল—সেসব তথ্য-সংবলিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাকিস্তানের হাতে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান এখন কী ব্যবস্থা নেবে, তার ওপরই নির্ভর করবে ১৫ জানুয়ারির বৈঠক হবে কি না।
এদিকে, ভারতের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য হাতে পাওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলি খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির জানজুয়া, পররাষ্ট্রসচিব ইজাজ আহমেদ চৌধুরীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ‘অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক’ বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। নওয়াজ শরিফ সেখানে দিল্লি থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এর আগে বেশ কয়েক দফা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নওয়াজের টেলিফোনে কথা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আলোচনা যাতে থমকে না যায়, সে জন্য মোদি ও নওয়াজ দুজনই আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা বলেছে, ভারতকে আপাতত প্রশমিত করতে পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করার পর জইশ-ই-মুহাম্মদ সংগঠনটির প্রধান মাসুদ আজহারকে সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.