সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে তীব্র যানজট

দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আজ সোমবার রাজধানীবাসীকে তীব্র যানজটে পড়তে হয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। প্রায় সব সড়কে স্থবির হয়ে ছিল যানবাহনগুলো। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ সোমবার বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে আগারগাঁও, ফার্মগেট ও শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত সড়ককে কেন্দ্র করে তার আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িতে চেপে বেলা দুইটার পর শাহবাগের দিকে যেতে থাকেন। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশ থেকেও দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেন। তাঁদের বহন করে আনা বাস ও ট্রাকগুলো জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে রাখা হয়েছিল।
যানজটের কারণে মতিঝিল ও সচিবালয় থেকে অফিস শেষে অনেকে হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দেন। কেউ কেউ বাসে চাপলেও দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকার পর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। কারওয়ান বাজারে এমরান হোসেন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কারওয়ান বাজারে আসতে তাঁর দেড় ঘণ্টা লেগেছে। নিরুপায় হয়ে তাঁকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে রাস্তার উল্টো দিকে দিয়ে বাইক চালিয়ে আসতে হয়েছে।
নিয়াজ মোরশেদ নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, বিকেলে তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশন থেকে বের হন। সেখান থেকে সংসদ ভবনের মোড় পর্যন্ত সড়কে তিনি এক ঘণ্টা আটকে ছিলেন। এরপর বাধ্য হয়ে চালকের জিম্মায় গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হেঁটে মহাখালী পৌঁছান।
সৈয়দ আশরাফুল হক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি মতিঝিলে গিয়েছিলেন ব্যবসায়িক কাজে। রাস্তায় যানজটের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তিনি নিজের গাড়িটি স্থানীয় একটি অফিসের গ্যারেজে রেখে হেঁটে ও রিকশায় চেপে নিজের নিকেতনের বাসায় যান। সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আজ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবিটি দোয়েল চত্বর থেকে তোলা। ছবি: ফোকাস বাংলা

No comments

Powered by Blogger.