চীনে তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী বিমান

চীন সরকার সোমবার সাংহাইয়ে তাদের প্রথম যাত্রীবাহী বৃহৎ বিমান উন্মুক্ত করেছে। দেশটির পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা ও অতিথির উপস্থিতিতে ‘দ্য কমার্শিয়াল এয়ার ক্রাফট অব চায়না (সিওএমএসি)’ দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট সি-৯১৯ নামের যাত্রীবাহী বিমানটি উন্মুক্ত করে। খবর এপি ও রয়টার্স। চীনে বিমানের ক্রমবর্ধমান বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং ও এয়ারবাস কোম্পানি। এজন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বিদেশী কোম্পানির অবস্থান শিথিল করতে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্যিক সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির বেসামরিক বিমান সংস্থার প্রধান লি জিয়াচিং সরকারি ও শিল্প কর্মকর্তাদের এক সভায় বলেন, চীনের বিমান পরিবহনশিল্প শুধু আমদানির ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, বরং বৃহৎ দেশ হিসেবে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রথমবারে মতো উন্মুক্ত হওয়া এ যাত্রীবাহী বিমানটি ৩৯ মিটার লম্বা,
যা সবুজ রঙা লেজসহ সাদা রঙের ক্যানভাসে মোড়ানো। বিমানটির নির্মাতা কোম্পানি সিওএমএসি’র চেয়ারম্যান জিন ঝুয়াংলং বলেন, ‘২০১৬ সালেই বিমানটি তার প্রথম যাত্রা শুরু করবে।’ ৭ মাসের কঠোর প্রচেষ্টায় যাত্রীবাহী এ বিমানটির ব্যয়ে ৭.৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ সরবরাহ করেছে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়না। এরই মধ্যে ২১ জন ক্রেতার কাছ থেকে আরও ৫১৭টি সি৯১৯ মডেলের বিমান তৈরির অর্ডার পেয়েছে। অধিকাংশ অর্ডারগুলো দেশীয় বায়ারদের কাছ থেকে হলেও থাইল্যান্ড সিটি এয়ারওয়েজ ১০টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি বলছে, ২০১৯ সালের মধ্যে ওই অর্ডারগুলো সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ২০৩৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানের রেকর্ড ভেঙে নতুন আরও ৬ হাজার ৩৩০টি যাত্রীবাহী সি-৯১৯ বিমান তৈরি করবে চীন।

No comments

Powered by Blogger.